দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মামলার পরিমাণ ১.৯ লক্ষও ছাড়িয়ে গেছে (প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: রাজ্যে একদিনে সংক্রমিত ২১৭ জন। এই সংখ্যা ধরলে মোট সংক্রমণের (Covid-19 in Bengal) সংখ্যা ৫৭৭২। সক্রিয় সংক্রমণ ৩১৪১। একদিনে মৃত ৮ জন।সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট মৃত ৩২৫ জন। এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ১৩ হাজার ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। রবিবার আর সোমবার মিলিয়ে মোট ৯৪৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। জেলা ভিত্তিতে হাওড়াতে সংক্রমিত ৭০ জন, কলকাতায় (Corona in Kolkata) ৫৪ জন, বীরভূম, কোচবিহার আর উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমিত ৩০,১৯ আর ১৮ জন। এদিকে, যত দিন এগোচ্ছে ততই যেন ভারতে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের দাপট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান দেখে শিউরে উঠছেন সকলে। সরকারি তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এদেশে মারাত্মক ওই ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮,৩৯২ জন। এখনও পর্যন্ত একদিনের নিরিখে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের পরিসংখ্যান এটিই। এর ফলে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মামলার পরিমাণ ১.৯ লক্ষও ছাড়িয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, দেশে মোট করোনা রোগী ১,৯০,৫৩৫ জন, যার মধ্যে ৫,৩৯৪ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু ঘটেছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন, যখন ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে ৮,০০০-কেও বেশি ছাড়িয়ে গেল।
একদিনে সর্বাধিক ৩৭১ জন সংক্রমিত বাংলায়! ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮, মোট সংক্রমিত ৫০৫১
শুধু যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই তা নয়, করোনা সংক্রমণের বিচারে এবার ফ্রান্সকেও টপকে গেল দেশ, সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত ১০ দেশের তালিকার মধ্যে নবম থেকে একেবারে সপ্তমে উঠে এল ভারত।
শ্রমিক স্পেশালে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনেই মৃত্যু হল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের
তবে একদিকে যেমন নতুন করে দেশের মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তেমনই চিকিৎসকদের চেষ্টায় সেরেও উঠছেন বহু মানুষ। দেশের পুনরুদ্ধারের হার অর্থাৎ যেসব করোনা রোগীরা ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন তাঁদের হার সোমবার সকাল পর্যন্ত ৪৮.১৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৯১,৮১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। সেরাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৬৭,৬৫৫ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবু তার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে মহারাষ্ট্র। ৩ জুন থেকেই ধীরে ধীরে সেখানকার লকডাউন নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করা হচ্ছে। আগামী ৮ জুনের পর থেকে গোটা মাস ধরে তিন দফায় উন্মুক্ত করা হবে সবকিছু। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। "মিশন বিগিন এগেন" নামে ওই পরিকল্পনা নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।