Coronavirus in India: মারণ রোগের ছড়িয়ে পড়া রুখতে কেরল মডেলের অনুসরণে ওড়িশাতেও ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
- কেরলের মতো ওড়িশা সরকারের তরফ থেকেও ছাতা ব্যবহারের উপর জোর
- করোনা সংক্রমণ রুখতেই ওই পদক্ষেপের নির্দেশ
- ছাতা ব্যবহার করলে স্বাভাবিকভাবেই বজায় থাকবে সামাজিক দূরত্ব
ওড়িশা: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus in India) সংক্রমণ রুখতে বারবারই বিশেষজ্ঞরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে যাঁরা রাস্তায় বের হচ্ছেন বা বাজারে যাচ্ছেন, দেখা যাচ্ছে ভিড়ের মধ্যে সেখানে বজায় থাকছে না সেই নির্দিষ্ট দূরত্ব। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাকাটা করতে হওয়ায় ওই মারণ রোগ (Coronavirus) আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। এবার এই ঝুঁকি (COVID- 19) এড়াতে এবং একে অপরের মধ্যে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার প্রশাসনিক স্তর থেকে দেওয়া হল ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ। ওই জেলার কালেক্টর বিজয় অমৃত কুলাঙ্গি সকলকে রাস্তায় বের হলে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই একে-অপরের থেকে দূরত্ব বজায় থাকবে। তিনি টুইটারে একটি কার্টুনের ছবি শেয়ার করেছেন, যাতে দেখা যাচ্ছে যে কীভাবে একটি ছাতা থাকায় দু'জনের মধ্যে প্রায় ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় থাকবে। এর ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানো যাবে অনেকটাই, মনে করছে ওড়িশা সরকার।
একলাফে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩, আক্রান্ত ৫৭২
২০১৩ সালের ওড়িশা ক্যাডারের ওই আইএএস আধিকারিক পিটিআই-ভাষাকে ফোনে বলেন, "আমি বিশ্বাস করি যে একটি ছাতা ব্যবহার করলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহারকারীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হবে। যিনি ছাতা ব্যবহার করছেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁর সঙ্গে তখন অন্য ব্যক্তির দূরত্ব ১,৫ মিটার হবেই। আর তাছাড়া ছাতা ব্যবহারে সূর্যের প্রখর তাপও এড়ানো যাবে"।
এর আগে, কেরলের আলাপুঝা জেলায় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে ঠিক একই রকম নির্দেশ দেওয়া হয়।প্রশাসনের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয় যে, এই পরিস্থিতি রাস্তায় বা বাইরে যে কোনও জায়গায় যাওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। কেননা এর ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মটি খুব সহজেই কার্যকর করা যায়।
"পরিযায়ী নাগরিকদের ফেরানোর জন্য বাস পরিষেবা অবাস্তব", কেন্দ্রকে জানাল রাজ্যগুলি
সেই কেরল মডেলকেই এবার অনুসরণ করছে ওড়িশাও। সে রাজ্যের গঞ্জাম জেলার প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তির মতে "COVID-19 -এর চিকিৎসার জন্যে এখনও কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। তাই আপাতত ওই রোগের সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে সবরকম সতর্কতা অবলম্বনই বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্যেই সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। আর সঙ্গে পথে ঘাটে বের হলে নিতে হবে ছাতা"।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)