This Article is From Apr 24, 2020

নতুন সংক্রমণ ৫৮! রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৩৩৪ আর সুস্থ হয়েছেন ১০৩ জন

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, রাজ্যে মত সংক্রমিত ৪৫৬ জন। মোট ৭৯৯০ জনের নমুনা এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে

নতুন সংক্রমণ ৫৮! রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৩৩৪ আর সুস্থ হয়েছেন ১০৩ জন

করোনায় নমুনা পরীক্ষার উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন অ-আবাসিক স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা দল। (ফাইল ছবি)

কলকাতা:

বৃহস্পতিবার ৫৮ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে (New Covid-19 cases in Bengal)। রাজ্যের সংক্রমণের নিরিখে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ। এই সংক্রমণের জেরে রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৩৩৪। এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এমনটাই বলেছেন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। পাশাপাশি ২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলেও এদিন দাবি করেন মুখ্য সচিব। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মৃত্যুর কোনও খবর নেই বলেও জানান তিনি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য উল্লেখ করে মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ৪৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষা থেকে নতুন সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১০৩ জন সুস্থ হয়েছেন আর মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, রাজ্যে মত সংক্রমিত ৪৫৬ জন। মোট ৭৯৯০ জনের নমুনা এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে। 

সোশ্যালে শাহরুখ খানের ভুয়ো ছবি পোস্ট! নেটিজেন ফের রুষ্ট রাখির ওপর

এদিকে, নবান্নে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, "নতুন যে ৫৮ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে, তাঁদের মধ্যে ২২ জন একই পরিবারের। আগে ওই পরিবারের একজন সংক্রমিত হয়েছিলেন। তাঁর থেকে এই ২২ জন সংক্রমিত। বাকি ৩৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগ কলকাতা পুরনিগমের বাসিন্দা। অন্যরা হাওড়া,  উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর আর হুগলির বাসিন্দা।"

 Exclusive: ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া উচিত লকডাউন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিকে, করোনায় নমুনা পরীক্ষা আর তথ্যের আদান-প্রদানে অসঙ্গতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ চিকিৎসকদের । এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন অ-আবাসিক স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা দল। সেই চিঠিতে তাঁদের দাবি, "অত্যন্ত কম হারে রাজ্যে নমুনা  পরীক্ষা হয়েছে। ভারতের বিচারে এই হার উদ্বেগজনক, কিন্তু রাজ্যে নিরিখে তা আশঙ্কাজনক।" পাশাপাশি সংক্রমণ পরিসংখ্যান নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। নিজেদের ফিজিশিয়ান, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও চিকিৎসা-কর্মী দাবি করে স্বাক্ষর সম্বলিত ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। সেই চিঠিতে মূল যে দুটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, তার মধ্যে ১)-- নিম্ন হারে নমুনা পরীক্ষা। আর ২)-- সংক্রমণে মৃতের সংখ্যার হেরফের। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার একটা প্রতিবেদন উল্লেখ করে সেই চিকিৎসক সংগঠনের দাবি, "রাজ্যে প্রতি লক্ষে মাত্র ৩৩.৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যেখানে গোটা দেশে সংখ্যাটা ১৫৭ প্রতি লক্ষ। যদিও রাজ্যের পরিকাঠামো বিচারে দিনপিছু ১০০০ জনের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।" 

.