করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) প্রকোপে ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economoy) বিরাট সঙ্কটের মুখে পড়েছে বলে জানাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank)। আগে থেকেই যে সঙ্কটগুলি ছিল, সেগুলি আরও ব্যাপক চেহারায় দেখা দিচ্ছে বলে জানাচ্ছে তারা। করোনার প্রকোপে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় কী প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির উপরে সে সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ক আন্দাজ করছে ভারতের অর্থনৈতিক গতি ৫ শতাংশ হ্রাস পাবে ২০২০-তে। এবং ২০২১ অর্থবর্ষে ২.৮ শতাংশ বৃদ্ধি হ্রাসের আশঙ্কাও করেছে তারা। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনীতি এমনিতেই বিভিন্ন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের আর্থিক সঙ্কটের কারণে বিপন্ন অবস্থায় ছিল। এবার করোনার প্রকোপে সেই সঙ্কট আরও ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ২১ দিনের লকডাউন চলছে দেশে। এর ফলে পণ্য পরিবহন ও মানুষের চলাফেরা রুদ্ধ হয়েছে। এরই ধাক্কায় ঘরোয়া চাহিদা ও সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে এক কনফারেন্স কলে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার জানিয়েছেন, ভারতের পরিস্থিতি ভাল নয়।
এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ালে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে।
এই সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে গেলে কী করতে হবে? টিমার জানাচ্ছেন, প্রথম ধাপ হল করোনা সংক্রমণ কমানো। সেই সঙ্গে সকলের জন্য খাদ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যাবর্তনের জন্য পদক্ষেপ করাটা অত্যন্ত জরুরি। এবং তার জন্য সাময়িক ভাবে কর্ম সংস্থানের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। বিশেষ করে স্থানীয় স্তরে। এই ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন করতে হবে। ছোট ও মাজারি সংস্থাগুলিকে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘দীর্ঘকালীন বিচারে এটা সত্যিই একটা সুযোগ ভারতীয় অর্থনীতিকে সুস্থিতির পথে নিয়ে আসা। এবং তা কেবল অর্থনৈতিক ভাবে নয়, সামাজিক ভাবেও।''
এর আগে ভারতকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য করার ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। বিশ্বব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, "করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে ভারতকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে সাহায্য করা হবে। ভারতীয় অর্থে যার মূল্য ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি।"