West Bengal: সরকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নার্সদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
- কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নতুন সমস্যা নার্স সঙ্কট
- গত কয়েকদিনে প্রচুর নার্স ইস্তফা দিয়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরে গেছেন
- বেসরকারি হাসপাতালগুলির এই সঙ্কট বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইল রাজ্য সরকার
কলকাতা: করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সঙ্গে লাগাতার জীবন-মরণ যুদ্ধের মধ্যেই নতুন এক সঙ্কট দেখা দিয়েছে রাজ্যে (West Bengal), বিশেষত কলকাতায়। শহরের (Kolkata Hospital) বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালেগুলোতেই এখন নার্সের সঙ্কট। কেননা, সব মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৫০ জন নার্স কাজ ছেড়ে নিজেদের বাড়ি ফিরে গেছেন। কলকাতার (Kolkata) বিখ্যাত হাসপাতালগুলোতে যাঁরা নার্সের পরিষেবা দেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মণিপুর সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসেন। কোভিড- ১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্য়েই তাঁরা চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ায় বিশাল সঙ্কটে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে এই সময় রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে। আর এই নার্স সঙ্কটে বেজায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বেচারি রোগীরা। দক্ষিণ কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই হাসপাতালে কমপক্ষে ২৫ জন নার্স কম রয়েছেন, ফলে বেড থাকলেও রোগী ভর্তির বিষয়ে সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত ৫,২৪২ জন, এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক
"যতজন কর্মী আছেন সেই অনুপাতেই এখন আমাদের রোগী ভর্তির সংখ্যা সীমাবদ্ধ থাকবে। মনে হয় না যে যাঁরা চলে গেছেন তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি আর ফিরে আসবেন। এখন আমাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। রাতারাতি নার্স আমরা কোথা থেকে আনবো", সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন পিয়ারলেস হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডঃ সুজিত কর পুরকায়স্থ।
আমরি হাসপাতাল, রাজ্যের COVID-19 আক্রান্ত রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্যে রাজ্য সরকারের নির্বাচন করা হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানেও গত কয়েকদিনে কমপক্ষে ৭৭ জন নার্স কাজ ছেড়ে অন্য রাজ্যে বা নিজেদের শহরে চলে গেছে। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্কটে আমরিও।
ওই হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন, "এই সমস্যার সমাধান করার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি এবং এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি। এমনকী আমরা যারা অবসর নিয়েছেন প্রয়োজনে তাঁদেরও আবার ফিরিয়ে আনা যায় কিনা তার পরিকল্পনা করছি"।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তে ৬১ টি দেশের সঙ্গে সায় দিল ভারতও
চার্নক হাসপাতালের এমডি প্রশান্ত শর্মা বলেছেন, হঠাৎ করে কাজ ছেড়ে দেওয়ার ফলে নতুন করে ডিউটি রোস্টার তৈরি করতে ম্যানেজমেন্টকে খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। একই অবস্থা কলকাতার অন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও।
এদিকে একের পর এক নার্সের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ভবনও। রবিবার রাতেই সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে যে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে মোট কতজন নার্স রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কারা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ও কারা অন্য রাজ্যের। ভিনরাজ্য থেকে আসা নার্সরা কোন কোন পদে রয়েছেন সেটাও জানতে চাওয়া হয় চিঠিতে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)