নয়াদিল্লি: সংক্রমণ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে করোনা চিকিৎসার স্বার্থে গাইডলাইনে সংশোধনী এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই গাইডলাইনে উল্লেখ; "এমার্জেন্সিতে রেমডেসিভির (Remdesivir Drug) ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে। প্রয়োগ করা যাবে টসিলিজুমেব ওষুধ আর প্রয়োজনে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা যেতে পারে।" জানা গিয়েছে, রেমডেসিভির সংক্রমণ প্রতিষেধক আর টসিলিজুমেব রোগ প্রতিরোধকারী ওষুধ হিসেবে কার্যকরী। পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার একদম শুরুতে ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (Hydroxychloroquin in Covid-19) ব্যবহার করতে পারেন চিকিৎসকরা। এদিন এমন পরামর্শ গাইডলাইনে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।এদিকে, সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন-সহ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আর নীতি আয়োগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকার সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় বৈঠকে। সবচেয়ে সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ুও আলোচনায় উঠে এসেছিল। নীতি আয়োগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে পিপিটি পরিবেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা প্রসঙ্গে সম্যক ধারণা তুলে ধরতে এই উদ্যোগ।
অপরদিকে, কিছুতেই যেন বাগে আনা যাচ্ছে না করোনা ভাইরাসকে। আনলক ১ শুরুর পর থেকেই ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিনই যেন নতুন রেকর্ড গড়ছে ওই মারণ ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের এক নতুন রেকর্ড হলো। একদিনের মধ্যে দেশে নতুন করে কোভিড- ১৯ আক্রান্ত হলেন ১১,৪৫৮ জন মানুষ। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,০৮,৯৯৩ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত একদিনে আরও ৩৮৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। সব মিলিয়ে মোট ৮,৮৮৪ জন মানুষ মারা গেছেন ওই ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হয়ে। এদিকে গত বৃহস্পতিবারই সংক্রমণের বিচারে ব্রিটেনকেও ছাড়িয়ে যায় ভারত। আমেরিকা, ব্রাজিল এবং রাশিয়ার পরে করোনা ভাইরাসের রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী ভারত এখন বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
করোনা ওষুধ তৈরিতে পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি