This Article is From Apr 05, 2020

করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু, দাহ করলে ছড়াবে না সংক্রমণ, প্রচারে রাজ্য

করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যুর ঘটনায় শেষকৃত্য ঘিরে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। দাহ করতে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে

করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু, দাহ করলে ছড়াবে না সংক্রমণ, প্রচারে রাজ্য

এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৬৮ জন সংক্রমিত, মৃত ৩। (ফাইল ছবি)

কলকাতা:

করোনা সংক্রমণের (Corona Death) জেরে মৃত্যুর ঘটনায় শেষকৃত্য ঘিরে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। দাহ করতে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। সেই বিভ্রান্তি দূর করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার (Bengal government)। নবান্ন জানিয়েছে, সংক্রমণে মৃতদের দাহ করতে কোনও অসুবিধা নেই। সতর্কতা মেনেই দাহকার্য সম্পন্ন করা হচ্ছে।মানুষের মনের আশঙ্কা দূর করতে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। দ্রুত দাহকার্য নিশ্চিত করতে কী কী জরুরি, সেই পরামর্শ দেওয়া নির্দেশিকায়। রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, দাহের পর ভস্ম নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়েও ছড়িয়েছে। আমরা ধরেই নিচ্ছি কেউ সেই ভস্ম বাড়ি নিয়ে যাবে না। পাশাপাশি শ্মশান এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে সেই মৃতদেহ থেকে সংক্রমণ এমন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আতঙ্কের সেই পরিবেশ দূর করতে পরামর্শ দেওয়া নির্দেশিকায়। শ্মশানের আশপাশে থাকা নাগরিকদের স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি মাইকিং করছে প্রশাসন। গুজবে কান না দিতে কলকাতা পুরসভার তরফে আবেদন করা হচ্ছে। 

তালাবন্দি আইসিইউ রুম! সময়ে চাবি খুঁজে না পাওয়ায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু মহিলার

এক পুরকর্তা বলেছেন, "শ্মশান এলাকার আশেপাশে থাকা নাগরিকদের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাঁরা মনে করতেন চুল্লির ধুয়ো ও ভস্ম থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আমরা প্রচার করে নিশ্চিত করেছি এই ধারণা ভুল। যদিও এভাবে সচেতন করার কাজ যথেষ্ট কঠিন ছিল।" জেলার পুরসভার তরফেও শুরু হয়েছে প্রচার। মাইকিং ও লিফলেট বিলি করে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কেন সংক্রমিত মৃতদেহ দাহ করলে ছড়াবে না সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় উল্লেখ, "পর্যাপ্ত বিধি মেনে দাহকার্য করলে সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনা নেই।" সেই পুরকর্তা আরও বলেছেন, "দাহের সময় তাপমাত্রা থাকে ৮০০-১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় ভাইরাস এমনিতেই তার প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়। ধীরে ধীরে এই বার্তা কানে তুলছে মানুষ।"

ভারতে ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ৫০৫, মোট আক্রান্ত ৩,৫৭৭: ১০টি তথ্য

কলকাতা পুরনিগম দুই চুল্লির আপদকালীন শ্মশান তৈরি করেছে ধাপা এবং তপশিয়ায়। সেখানে শুধু সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির দাহকার্য হবে।আর কবরস্থান বানানো হয়েছে বাগমারিতে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৬৮ জন সংক্রমিত, মৃত ৩।  



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.