কিন্তু করোনা আতঙ্ক ও সরকারি নিষেধাজ্ঞার জোড়া চাপে মন্দা ব্যবসায়। জানা গিয়েছে, একদিকে কেন্দ্র-সহ রাজ্য সরকার বিদেশিদের অবাধ বিচরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। (ছবি প্রতীকী)
কলকাতা: মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট চত্বর (New Market Area) বছরের ৩৬৫ দিন গমগম। ফুটপাথ বিকিকিনি থেকে একাধিক মলের অবস্থান। বাঙালি ক্রেতাদের মজিয়ে রাখে নিউ মার্কেট চত্বরে। কিন্তু সেই নিউ মার্কেট এখন শুনশান (Deserted due to Corona outbreak)। বিশেষ করে এলাকার হোটেলগুলোর তথৈবচ অবস্থা (Major Crisis in Hotel Industry)। নিউ মার্কেট চত্বরের দোকানীদের যেমন ব্যবসা লাটে ওঠার জোগার, তেমনি মাছি মারছে হোটেলগুলো। বাংলাদেশী নাগরিকদের অতিথি আপ্যায়ন করে বেশ নাম-ডাক ওই হোটেলগুলোর। কিন্তু করোনা আতঙ্ক ও সরকারি নিষেধাজ্ঞার জোড়া চাপে আসছেন না বাংলাদেশী অতিথিরা (Less arrivals of Bangladeshi guests) । ফলে মন্দা ব্যবসায়। জানা গিয়েছে, একদিকে কেন্দ্র-সহ রাজ্য সরকার বিদেশিদের অবাধ বিচরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সাসপেন্ড করেছে ভিসা। তেমনি করোনা সংক্রমণ রোধে বিদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ করেছে পড়শি বাংলাদেশও।
করোনা নিয়ে উদ্বেগ, রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের
আর এতেই আরও বেড়েছে বিপত্তি। তাই তড়িঘড়ি কাজ ফেলে ঘরে ফেরার তাড়া বাংলাদেশীদের। আবার দেশ ছেড়ে এপার বাংলায় আসতে পারছেন না অনেক বাংলাদেশী নাগরিক। তাই যাঁদের টাকায় মুলত ব্যবসাবৃদ্ধি, সেই বাংলাদেশী অতিথিদের এ শহরে পা না পড়ায় ক্রমশ শুষ্ক হচ্ছে ব্যবসার পরিসর। মঙ্গলবার এমনটাই আক্ষেপ করেছে মধ্য কলকাতা হোটেল সংগঠন। তাদের দাবি, "ওপার বাংলা থেকে চিকিৎসা কিংবা ব্যবসার প্রয়োজনে বাংলাদেশী নাগরিকদের কলকাতায় আনাগোনা ৩৬৫দিন। আর এ শহরে পা রেখেই, তাঁরা সস্তায় পুষ্টিকর পরিষেবা পেতে নিউ মার্কেটের এই হোটেগুলোকেই বাছেন। কিন্তু পসার সাজিয়ে বসে থাকলেও পরিষেবা প্রদানের অন্তরায় করোনা আতঙ্ক।
"করোনা ভাইরাস সুনামির মতো", আর্থিক বিপর্যয় নিয়ে সতর্ক করলেন রাহুল গান্ধি
পূর্ব ভারতের রেস্তোরাঁ ও হোটেল সংগঠনের সচিব সুদেশ পোদ্দার পিটিআইকে বলেছেন, নিউ মার্কেট এলাকার বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য প্রসিদ্ধ হোটেলগুলোর গড় বুকিং ৯০% কমেছে। সেখানে পার্ক স্ট্রিট এলাকার হোটেলগুলোর গড় বুকিং ৩০% কমেছে। মধ্য কলকাতার মারকুইস স্ট্রিটের প্রসিদ্ধ কেম্পটন হোটেলের ম্যানেজার বলেন, "বাংলাদেশী নাগরিকরা এ শহরে আসা বন্ধ করে দেওয়াতে আমাদের বুকিং হাড় প্রায় ৯০% কমেছে। আগে যেখানে প্রতি মাসে ৯৫% রুম বুক থাকত, এখন সেই সংখ্যা ৫%।এর নেপথ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ভিসা সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আর করোনা সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে। এদিকে, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেসও গত রবিবারের পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। সেই ফ্যাক্টরও কাজ করেছে বলে দাবি ওই ম্যানেজারের। ফলে ক্রমাগত অতিথি সংখ্যা কমতে থাকায় প্রভাবিত তাদের ব্যবসা।
মন্দার মুখে পড়তে হচ্ছে অনেক হোটেল মালিককে বলে দাবি ওই সংগঠনের।একই অবস্থা নিউ মার্কেট এলাকার জনপ্রিয় খাওয়ারের হোটেল কস্তুরীর। বড় ও মিশ্র জমায়েত এড়াতে কস্তুরী থেকে মুখ ফিরিয়েছে খাদ্য রসিক বাঙালি। পাশাপাশি আসছেন না বাংলাদেশী নাগরিকরা। তাই গত কয়েকদিন গ্রাহকশূন্য নিউ মার্কেট এলাকার ওই প্রসিদ্ধ খাওয়ারের দোকান। এই বিষয়ে কস্তুরীর এক আধিকারিক বলেছেন, সপ্তাহের ৭ দিন আমাদের নিউ মার্কেট বিপণিতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। কিন্তু গত একসপ্তাহ একদমই শুনশান ওই বিপণী।
এসব দিক বিবেচনা করে সুদেশ পোদ্দার আরও বলেছেন, আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করবো, সম্পত্তি কর পরিশোধের সময়সীমা বাড়াতে। বিদ্যুৎ কর ও লাইসেন্স কর পরিশোধের সময়সীমা বাড়াতেও অনুরোধ করব। ওই অধিকর্তার দাবি, "আগামী ৬ মাস জিএসটি আদায় ও ব্যাঙ্ক লোনের কিস্তি মকুবের জন ব্যাঙ্কের কাছে দরবার করব আমরা।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)