চলতি সপ্তাহে ব্যাপক হারে কমেছে কলকাতা মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন কলকাতা মেট্রো রেলের মুখপাত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি)
কলকাতা: আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ শপিং মল, সিনেমা হল, চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়ার মতো দর্শনীয়স্থল। একাধিক বেসরকারি সংস্থা বাড়ি থেকে কাজের পরিসর তৈরি করে দিয়েছে। এসবের নেপথ্যে করোনা সতর্কতা (Corona Restriction)। যার প্রভাবে চলতি সপ্তাহে ব্যাপক হারে কমেছে কলকাতা মেট্রোর যাত্রী (Kolkata Metro) সংখ্যা। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন কলকাতা মেট্রো রেলের মুখপাত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিসংখ্যান, "সোমবার কলকাতা মেট্রো পরিষেবা নিয়েছেন ৫. ৩২ লক্ষ যাত্রী। যা অন্যান্য সপ্তাহে থাকে গড়ে ৬. ৫ লক্ষ। অর্থাৎ প্রায় ১. ৩ লক্ষ কম।" তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু শহরের একাধিক জমায়েতের জায়গা ও কর্মস্থলে তালা ঝুলেছে, তাই পাল্লা দিয়ে কমেছে কলকাতা মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা (Observes dipped in footfall)। তবে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে মেট্রোর রেক পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নের কাজ নিয়মমাফিক চলছে। এদিন দাবি করেন ইন্দ্রাণী দেবী।
ত্রুটির কারণে রাজ্যসভায় বাতিল দীনেশ বাজাজের মনোনয়ন
"মেট্রো রেলের নিজস্ব মেডিক্যাল কর্মীরা সচেতনতা প্রচারে সক্রিয় হয়েছে। তপন সিনহা মেমোরিয়াল হাসপাতালে জ্বর প্রতিরোধী কেন্দ্র ও বিশেষ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে মেট্রো রেল।" মঙ্গলবার বলেন ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। মেট্রোর পাশাপাশি শহরের অন্যতম বড় গণপরিবহণ সরকারি ও বেসরকারি বাসেও যাত্রী সংখ্যা কমেছে। মঙ্গলবার জানিয়েছেন পরিবহণ সচিব এনএস নিগম। তাঁর মতে, "সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন। পরিবহণে যাত্রী চাপ অত্যাধিক থাকে। কিন্তু সেই তুলনায় সোমবার চাপ অনেক কম ছিল। যা আগামী দিনেও পরিলক্ষিত হবে।"
করোনা নিয়ে উদ্বেগ, রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের
সেভাবে যাত্রী পাচ্ছে না অ্যাপ-ক্যাবস ও হলুদ-কালো ট্যাক্সি। অন্যদিনের তুলনায় রাস্তায় এই দুই পরিবহণ কম নামলেও, অনুপাতে আরও কম যাত্রী চাহিদা। জানা গিয়েছে, মূলত বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের কাছে অ্যাপস ক্যাব ও ট্যাক্সির চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ সংস্থা বাড়ি থেকে কাজের পরিসর তৈরি করে দেওয়ায় যাত্রী নেই ক্যাবস ও ট্যাক্সির।
এদিকে, ‘করোনায় শুটিং করো না'--- এই আপ্ত বাক্য মেনে আগামীকাল ১৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে টেলি এবং টলিপাড়ার শুটিং। মঙ্গলবার ইমপার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি অরূপ বিশ্বাস। দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইম্পার প্রেসিডেন্ট পিয়া সেনগুপ্ত, আর্টিস্ট ফোরাম, প্রোডিউসার্স গিল্ডের সর্বসম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, প্রযোজক নিসপাল সিংহ রানে, অভিনেতা জুন মালিয়া, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)