করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ১০ টি তথ্য:
দেশব্যাপী লকডাউনের চতুর্থ পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায় লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে ভারতে এই সপ্তাহে পাঁচ দিনে রেকর্ড সংখ্যক নতুন রোগীর কথা জানা গিয়েছে। সোমবার ৫,২৪২ টি নতুন আক্রান্ত, বুধবার ৫,৬১১ টি, শুক্রবার ৬,০৮৮ টি এবং শনিবার ৬,৬৫৪ টি নতুন আক্রান্তের রিপোর্ট মিলেছে।
মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু আগামীকাল থেকে বিমান পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ আজ সকালে টুইট করেছেন, “রেড জোনে বিমানবন্দরগুলি পুনরায় চালু করার এটি অত্যন্ত অনুচিত পরামর্শ।”
বিমান যাত্রা শুরু করার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে থাকা সত্ত্বেও, রাজ্যগুলি এখনও সংশয়ে। ফলত অদ্ভুত সম্ভাবনা রয়েই যাচ্ছে যে বিমানগুলি অবতরণ করলেও, যাত্রীদেরকে বিমান থেকে নামতে এবং বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা মিলেছে। এ পর্যন্ত ৪৭,১৯০ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ ওই রাজ্যে, ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১৪,৭৫৩ টি পজিটিভ কেস রয়েছে, ৯৮ জন রোগী মারা গেছেন।
চেন্নাইয়ে, লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ থাকার প্রায় দুই মাস পর সোমবার থেকে ১৭ টি বড় শিল্প পুনরায় উৎপাদন চালু করবে।
গত দু'মাস ধরে, ভারত কোভিড পরীক্ষার ক্ষমতা ১০০ গুণ বৃদ্ধি করেছে- মার্চ মাসে প্রতিদিন এক হাজার জনের পরীক্ষা হত, মে মাসে প্রতিদিন এক লক্ষ মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে।
শনিবার রাজ্যে একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা সামনে আসার পরে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের জন্য নতুন নিয়মের দাবি জানিয়েছেন।
রোগকে হারিয়ে সেরে ওঠার হার এই দেশে ৪১. ২৮ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান শনিবার জানান যে তাঁর রাজ্যের আরোগ্যলাভের হার ৫১ শতাংশ। তিনি বলেন, “সবাইর নিশ্চিত হওয়া উচিত যে লকডাউন যেন কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় এবং স্ব স্ব জেলায় নির্দেশিকা অনুসারে ছাড় দেওয়া উচিত।”
১.৬ লক্ষেরও বেশি করোনা আক্রান্ত নিয়ে মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। করোনাভাইরাসজনিত কারণে ৯৭,০০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছেন এই দেশে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলি হ'ল ২৫৭,১৫৪ জন আক্রান্ত এবং ৩৬,৬৭৫ টি মৃত্যুর রেকর্ড গড়া ব্রিটেন। ইতালিতে ২২৯,৩২৭ জন আক্রান্তের মধ্যে ৩২,৭৩৫ জন মৃত, স্পেনের ২৮,৬৭৮ জন মৃত এবং আক্রান্ত ২৩৫,২৯০ এবং ফ্রান্সে মৃত ২৮,৩৩২ জন এবং আক্রান্ত ১৮২,৪৬৯ জন।