West Bengal: এ রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৪৯২ (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- পশ্চিমবঙ্গে করোনা রোগীদের সংখ্যা লাগাতার বেড়ে চলেছে
- সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও
- চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য সরকারের কপালে
কলকাতা: হঠাৎ করেই যেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের (Bengal Coronavirus) দৌরাত্ন্য বেড়ে গেছে। রবিবার সারাদিনে মোট ৩৬ জনের প্রাণ কেড়েছে ওই মারণ ভাইরাস (Coronavirus)। ফলে এখনও পর্যন্ত এরাজ্যে (West Bengal) কোভিড- ১৯ এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যা (Bengal Coronavirus Deaths) বেড়ে ১,১১২ জনে দাঁড়িয়েছে। ৫ জুলাই থেকে রাজ্য়ে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ জন বা তার আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছিল, কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় যেন আরও বিধ্বংসী রূপ দেখালো করোনা। মৃত ৩৬ জনের মধ্যে কলকাতায় ১৫ জন মারা গেছে এবং উত্তর ২৪ পরগনাতে মৃত ৯ জন। হুগলীতে ৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন করে এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে একজন করে করোনা রোগী মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।একদিনের মধ্যে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও, ২,২৭৮ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে রাজ্যে। ফলে বাংলায় করোনার কবলে পড়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে হল ৪২,৪৮৭ জন।
ঘরে ঘরে নমুনা পরীক্ষায় ইউকে'র অ্যান্টিবডি টেস্ট! ২০ মিনিটে জানা যাবে রেজাল্ট
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১,৩৪৪ জন, ওদিকে রবিবার দিনভর রাজ্যের ১৩,৪৭১ জন মানুষের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হওয়ার পরিমাণও বেড়েছে এরাজ্যে। রবিবার সমস্ত নমুনা পরীক্ষার মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে ৬ শতাংশের, যেখানে ১ জুলাই এই পরিমাণ ছিল ৩.৮৫ শতাংশ। সবচেয়ে চিন্তার কথা হল, পশ্চিমবঙ্গে করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হারও কমে এসেছে। যেখানে ১ জুলাই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুঝে সুস্থ হওয়া মানুষের পরিমাণ ছিল ৬৫.৩৫ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে সেই পরিমাণ নেমে এসেছে ৫৮.৫৬ শতাংশে।
কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালে সায় দিল এইমসের এথিক্স কমিটি
তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে যে কোভিড -১৯ এর কারণে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৮৩.১% রোগীরই মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটির কারণে। মৃতদের মধ্যে ১৫.৬ শতাংশেরই বয়স ৭৫ বছরের বেশি।
রাজ্যে করোনা চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন হাসপাতালগুলোতে ১১,১৭৯টি করোনা বেডের মধ্যে ৭০৭০ টি বেড ফাঁকা রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের সংখ্যা ১,৮৮২টি, যার মধ্যে ২২২ টি বেড খালি রয়েছে। তবে ৩৮ টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ২১ টিতে কোনও বেড খালি নেই।
রাজ্য সরকারের তরফে আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে ১৫,০০০ নতুন বেডের ব্যবস্থা করবে বলে জানানো হয়েছে।পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কড়া লকডাউন জারি রাখার ঘোষণা করা হয়েছে।