বিধানসভার অধিবেশনের প্রথম দিনেই একসঙ্গে ওয়াক আউট করল বাম ও কংগ্রেস। বিরোধীদের আনা মুলতবি প্রস্তাব খারিজ হয়ে যেতেই একযোগে সভাকক্ষ ত্যাগ করে বিরোধীরা।
কলেজে ভর্তি হতে বেআইনি ভাবে টাকা তোলা হচ্ছে এই আভিযোগ সহ আরও কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে সোমবার মুলতবি প্রস্তাব আনা হয়। নিয়ম অনুসারে প্রস্তাব গৃহীত হলে বিধানসভার অন্য কাজ বন্ধ রেখে ওই বিষয় নিয়ে আলচনা করতে হবে। কিন্ত স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব খারিজ করে দেন। প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দুই দলের বিধায়করা। স্লোগানও দেন কেউ কেউ। কিছুক্ষণ বাদেই সারা দিনের জন্য সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান বিরোধী বিধায়করা।
পরে সিপিএমের উত্তর দমদম কেন্দ্রের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের জানান , শাসক তৃণমূলের নেতরাই টাকা নিয়ে কলেজে কলেজে ছাত্র ভর্তি করছেন । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এ ব্যাপারে কথা বলা উচতি। কংগ্রেসের উপদলনেতা তথা বহরমপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীও সরকারকে আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি টাকা নিয়ে যারা ছাত্র ভর্তি করছে তাদের আড়াল করতে চাইছে সরকার পক্ষ। আর তাই বিধানসভায় আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
গত কয়েক বছর ধরেই কলেজে ভর্তির সময় বেআইনি ভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এ বছরও শিক্ষা দপ্তর ও পুলিশের কাছে এরকম একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে একটি কলেজ গিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেছেন। ভর্তি হতে আসা পড়ুয়া থেকে শুরু করে ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। কলেজ পরিদর্শনে গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীও। কলকাতা পুলিশের তরফে ফেসবুকে এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা হয়।
সব দিক খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামী বছর থেকে কলজে ভর্তি হওয়ার টাকা জমা দিতে হবে ব্যাঙ্কে ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)