This Article is From Mar 12, 2019

রাজ্যে এম পি ল্যাডের অর্থ খরচ করায় সবথেকে এগিয়ে সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম

রাজ্যের ৪২’টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য মোট বরাদ্দ এমপি ল্যাডের অর্থ যা তার ৯৩.৪২ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে ৮০৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। ১২৪ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা এখনও খরচ করা হয়নি।

রাজ্যে এম পি ল্যাডের অর্থ খরচ করায় সবথেকে এগিয়ে সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম

সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম তাঁর এমপি ল্যাডের জন্য বরাদ্দ্ অর্থের ১১৫.১৪ শতাংশ অর্থ খরচ করেছেন।

কলকাতা:

দামামা বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। সমস্ত রাজনৈতিক দলই তৈরি হচ্ছে নিজেদের সমস্তটা দিয়ে প্রচারে নামার জন্য। সেই সময়ই একটি তথ্য এল কেন্দ্রের কাছ থেকে। সেখান থেকে জানা গেল এই রাজ্যের যে সাংসদ তাঁর সাংসদ তহবিল বা এমপিল্যাডের বরাদ্দ অর্থকে সবথেকে বেশি কাজে লাগিয়েছেন, তিনি হলেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি ছাড়া আর যে পাঁচজন সাংসদ তাঁদের সাংসদ তহবিলের টাকার যথাযথ ব্যবহার করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রথমবারের সাংসদ। তাঁরা সাংসদ হওয়ার আগে কেউ সমাজকল্যাণমূলক কাজে জড়িয়ে ছিলেন। কেউ বা ছিলেন রূপোলি পর্দার জগতে। প্রসঙ্গত, কোনও সাংসদকে তাঁর নিজের কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য এমপি ল্যাডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ করা হয়।

রাজ্যের ৪২'টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য মোট বরাদ্দ এমপি ল্যাডের অর্থ যা তার ৯৩.৪২ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে ৮০৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। ১২৪ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা এখনও খরচ করা হয়নি।

৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল, লড়বে রাজ্যের বাইরেও

অন্যদিকে, রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম তাঁর এমপি ল্যাডের জন্য বরাদ্দ্ অর্থের ১১৫.১৪ শতাংশ অর্থ খরচ করেছেন। মোট ২৮ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছেন মহম্মদ সেলিম। যেখানে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করা হয়েছিল ২১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে ২০ কোটি ৫ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। জেনা প্রশাসনের ‘নিষ্পৃহতার জন্য' তিনি তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থ ঠিকভাবে খরচ করতে পারছেন না, এমন অভিযোগ এর আগে করেছিলেন সেলিম।

এই তালিকায় মহম্মদ সেলিমের পরেই রয়েছেন তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য তিনি ২৭ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছিলেন। সুদ সহ তাঁর এমপি ল্যাডের অর্থের পরিমাণ ২৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। কেন্দ্র তার মধ্যে দিয়েছে ২৫ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে ২৫ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন তিনি নিজের কেন্দ্রের জন্য। তাঁর মোট তহবিলের ১১০.৬০ শতাংশ ব্যবহার করেছেন তিনি।

৩৬ আসনে কে কটায় লড়বে, তা নিয়ে কংগ্রেস- সিপিএমের মধ্যে আলোচনা শুরু

এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ সন্ধ্যা রায়। সুদসহ তাঁর এমপি ল্যাডের পরিমাণ ২৬ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা। তিনি অনুমোদন করেছেন ২৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। ২৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে তার মধ্যে। অর্থাৎ, মোট অর্থের ব্যবহারের পরিমাণ ১০৪.৪০ শতাংশ।

চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দীপক অধিকারী, বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত নায়ক দেব, তাঁর এম পি ল্যাডের ব্যবহার করা অর্থের পরিমাণ ১০২.৫১ শতাংশ।

আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার তাঁর এমপি ল্যাডের সদ্ব্যবহার করেছেন যত, তার পরিমাণ ১০২.২৪ শতাংশ।   



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.