ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কেরালার ঐতিহ্যবাহী শাড়িতে সজ্জিত হয়ে মাটিতে বসে অসম্ভব মধুর কণ্ঠে তিনি পাঠ করে চলেছেন রামায়ণ
থিরুভানানথাপুরাম: দুটি মহাকাব্য লেখা হয়েছে এই দেশের প্রেক্ষাপটে। সেই মহাকাব্য বিরোধী আন্দোলনও খুব কম হয়নি। এই দেশের মাটিতে স্থান পেয়েছে সবই। 'একের মধ্যে বহু'র এই দেশ। কেরালার শাসক দল সিপিআইএমের এক মহিলা বিধায়ক 'রামায়ণ' পাঠ করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল অচিরেই। 'রামায়ণ' নিয়ে কেরালায় অতি বিতর্কিত বামপন্থী সভা হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই এই ঘটনা। মালয়ালম ক্যালেন্ডারের শেষ মাস, যাকে 'রামায়ণ' মাস বলেও অভিহিত করা হয়, সেই মাসে 'কারক্কিডাকাম' পালনের মধ্যে দিয়েই এল কায়ামকুলাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইউ প্রতিভা হরির এই রামায়ণ পাঠ।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কেরালার ঐতিহ্যবাহী শাড়িতে সজ্জিত হয়ে মাটিতে বসে অসম্ভব মধুর কণ্ঠে তিনি পাঠ করে চলেছেন রামায়ণ।
এই ভিডিওটিও এটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে
"রামায়ণের মাসটি শুরু হয়ে গিয়েছে। আসুন, আমরা সকলে রামায়ণ পাঠ করে নিজেদের সত্তাকে আরও স্বচ্ছ করে তুলি... ", প্রথমবারের বিধায়ক ভিডিওটির সঙ্গে এই কথাগুলো লিখে তা শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তিনি তাঁর রামায়ণ পাঠের ভিডিও পোস্ট করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তা বহু মানুষ শেয়ার করতে আরম্ভ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত 17 জুলাই থেকে শুরু হওয়া 'রামায়ণ' মাসটিতে, মধ্যযুগের কবি থুনচাথ রামানুজন এঝুথাচান রচিত 'আধ্যাত্ম রামায়ণ' থেকে পাঠ করা হয় কেরালার ঐতিহ্যবাহী বাতি 'নীলাভিলাক্কু'র সামনে বসে।
প্রতিভা হরির রামায়ণ পাঠ আসলে উসকে দিল সেই বিতর্ককেই, যা শুরু হয়েছিল বামপন্থী সংগঠন 'সংস্কৃতি সংঘ'-এর রামায়ণ নিয়ে সম্মেলন করার মধ্য দিয়ে।
মিডিয়ার কয়েকটি অংশের দাবি অনুযায়ী, রাজ্যের সিপি(আই)এম 'সংস্কৃতি সংঘ'-এর সম্মেলনকে স্পনসর করছিল। যদিও, ওই দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক কোদিয়েরি বালাকৃষ্ণন জানিয়েছেন, 'সংস্কৃতি সংঘ' একটি সংগঠন। রামায়ণ মাস পালন করার কোনও পরিকল্পনাই নেই বামপন্থী দলটির।