This Article is From Jun 09, 2020

গণতন্ত্রকে কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়েছে বিজেপি, আইসিইউতে পাঠিয়েছেন মমতা: সিপিআইএম

সিপিআইএমের এই প্রবীণ নেতার দাবি, আড়াই মাস লকডাউনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়নি কেন্দ্র

গণতন্ত্রকে কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়েছে বিজেপি, আইসিইউতে পাঠিয়েছেন মমতা: সিপিআইএম

তাঁর দাবি, পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোগান্তি সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় বেশি আগ্রহী নরেন্দ্র মোদি সরকার(ফাইল)

কলকাতা:

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) দিল্লি থেকে করা এ রাজ্যবাসীর উদ্দেশে জনসভার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করল সিপিআইএম(CPIM)। যখন রাজ্যের মানুষের ভোগান্তি চরমে, সেই সময় রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে অমিত শাহের সভার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে তারা। সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম (Mohammad Salim) বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে রাজ্যের মানুষ যখন অসহায় অবস্থায়, অর্থনীতিতে সঙ্কট, সঙ্গে রয়েছে আমফানের বিপর্যয়, সেই সময় ভোট চাইছেন অমিত শাহ। প্রাক্তন এই সাংসদ বলেন, “সোনার বাংলা গড়ার নামে হাজারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন অমিত শাহ, তবে বাস্তবে, দেশের বাংলা ভাষী মানুষদের সিএএ এবং এনআরসির নামে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করতে চাইছেন”।

"করোনা এক্সপ্রেসই আপনার সরকারকে বাংলার বাইরে পাঠাবে", মমতাকে বিঁধলেন অমিত শাহ

মহম্মদ সেলিম আরও বলেন, রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং সড়ক যোজনা সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কিছুই কোনও পদক্ষেপ করেনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। তাঁর দাবি, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অনেকটাই সরব ভারতীয় জনতা পার্টি, তবে কোনও ইস্যুতেই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাত মিলিয়ে চলার অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, গণতন্ত্রকে কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়েছে বিজেপি, তাকে আইসিইউতে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিপিআইএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিমের কথায়, “দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও, মনরেগায় কাজের দিন ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করার খুবই প্রয়োজন রয়েছে, যদিও গ্রাম ও শহরের গরীব মানুষের জন্য কিছুই করা হচ্ছে না”।

বাংলার করোনা সঙ্কট কাটাতে যথেষ্ট সময় দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী: বিজেপি

তাঁর দাবি, পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোগান্তি সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় বেশি আগ্রহী নরেন্দ্র মোদি সরকার। দেশে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র কয়েকশো ছিল, সেই সময়, দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা এবং যখন আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ পেরিয়েছে সেই সময় লকডাউন শিথিল করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

দেশে করোনার যথাযথ সংখ্যায় পরীক্ষা না করার অভিযোগ তুলে সিপিআইএমের এই প্রবীণ নেতার দাবি, আড়াই মাস লকডাউনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়নি কেন্দ্র।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.