সতর্কতা অবলম্বনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে (ফাইল ছবি)
কলকাতা: এবার করোনা সংক্রমিত প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। সতর্কতা অবলম্বনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।এদিকে, ফের একবার কড়া লকডাউনের দিন বদল করলো নবান্ন। এ নিয়ে চলতি মাসের লকডাউন নির্ঘন্ট তৈরিতে তিনবার দিন বদল করলো স্বরাষ্ট্র দফতর। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কিছু সংগঠনের আবেদন মেনে ও তাঁদের রীতি পালনের পরিসরকে মান্যতা দিতে এই সিদ্ধান্ত। নবান্ন থেকে জারি করা সংশোধিত লকডাউন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলতি মাসে ৫,৮,২০,২১, ২৭, ,২৮,৩১ পালিত হবে কড়া লকডাউন। এই দিনগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া অন্য কোনও গতিবিধি একদম নিয়ন্ত্রিত এবং নিষিদ্ধ। সকাল ৬টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোন ও তার বাইরেও বলবৎ থাকবে এই কড়া লকডাউন। বিধিভঙ্গে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর। এদিকে, পাঁচ তারিখের লকডাউন নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর তুঙ্গে। ওইদিন অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের ভূমিপুজো। তাই রাজ্যের মানুষের আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে পাঁচ অগাস্টের লকডাউন মুলতুবি রাখার আবেদন জানিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সংশোধিত লকডাউনে ক্যালেন্ডারে সেই আবেদনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
জানা গিয়েছে, এর আগে চলতি মাসে ৫,৮,১৬,১৭,২৩,২৪ আর ৩১ তারিখ লকডাউনের দিন স্থির হয়েছিল। এদিকে, দেশে দেখতে দেখতে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১৮ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবার সকালে যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৫২,৯৭২ জন করোনা পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়েছেন। ফলে ভারতে মোট কোভিড -১৯ আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮,০৩,৬৯৫ এ। একদিনের মধ্যে আরও ৭৭১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা ভাইরাস।
ফলে এপর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৮,১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে । সবচেয়ে বড় কথা, করোনার কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মতো হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। সারা দেশে মোট ১১,৮৬,২০৩ জন রোগী করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছেন। ভারতে এই মারণ রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হার এখন ৬৫.৭৬ শতাংশ।
প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এদেশে বাড়ছে। করোনা আক্রান্তের হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরেই বিশ্ব তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
করোনা সংক্রমণ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। ওই রাজ্যের পর আক্রান্তের বিচারে দেশের পরের ৫টি রাজ্য হলো তামিলনাড়ু, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।