ক্ষিতি গোস্বামীর মন্তব্য বামফ্রন্ট সিপিএমের একার সম্পত্তি নয়
কলকাতা: সিপিএম কংগ্রেসের হাত ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করায় কি বামফ্রন্টে ভাঙন ধরতে চলেছে ? সময় যত যাচ্ছে ততই আরও জোরালো হচ্ছে এমন সম্ভবনা। নটি বাম দল প্রায় চার দশক আগে তৈরি করে ফ্রন্ট। সাংগঠিক ক্ষমতা বেশি থাকায় চিরকালই ফ্রন্টে সিপিএমের জোর বেশি। শরিকদের অভিযোগ সংখ্যায় বেশি হওয়ায় নিজেদের মনোভাব চাপিয়ে দিচ্ছে সিপিএম। আর তাই বাম দল গুলির স্বার্থের কথা চিন্তা না করেই হাত ধরা হচ্ছে কংগ্রেসের। এ ব্যাপারটাকে সামনে রেখে বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে ফ্রন্টে। বড় শরিক সিপিএমের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছে সিপিআই থেকে শুরু করে ফরওয়ার্ড ব্লক আরএসপির মতো দলগুলি। গত বিধানসভা নিৰ্বাচনের আগেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে নিজেদের আপত্তির কথা ব্যক্ত করেছিল দলগুলি। কিন্ত তারপরও জোট হয়। কিন্ত তাতেও তৃণমূলকে হারাতে পারেনি জোট।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে খাতায় কলমে বাম-কংগ্রেস জোট না হলেও কিছু জায়গায় সমঝোতা হয় দুপক্ষের। শরিকদের অভিযোগ এই সমঝোতার জন্য তারা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই এবার বিরোধিতার সুর আরও অনেকটা চড়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের মত দল সরাসরি ফ্রন্ট ছাড়ার কথা বলছে। দলের বাংলা কমিটির সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, " আমরা সিপিএমকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি যে আবারও কংগ্রেসের জোট করলে ফ্রন্ট ছাড়তে বাধ্য হব। 2016 সালে জোট হওয়ায় আমাদের সমস্যা হয়েছিল। বামেদের সঙ্গে জোট হলে কংগ্রেসের লাভ হয় আর ক্ষতি হয় অন্য পক্ষের। প্রায় একই মত আরেক শরিক সিপিএআইয়ের। দেশের অন্য রাজ্যে কংগ্রেসের হাত ধরতে আপত্তি না করা সিপিআই এখানে অবস্থান বদলেছে। তাদের মতে এ রাজ্যে কংগ্ৰেসকে পাশে নিয়ে লড়লে তার ফল হবে মারাত্মক। দলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়র কথায় , 'কংগ্রেসের ভোট যে আমাদের দিকে আসেনি সেটা গত বিধানসভা এবং মহেশতলার উপনির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে।' আরও বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে আরএসপির রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামীর মন্তব্য বামফ্রন্ট সিপিএমের একার সম্পত্তি নয়।
2016 সালে র ভোটে জোট করেও দুপক্ষ একশো আসনের গন্ডি পার হতে পারেনি। শুধু তাই নয় কংগ্রেসের আসন বেশি হওয়ায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাও পেয়েছে তারা। এমতাবস্থায় সিপিএমের উপরে চাপ আরও বাড়ল। যদিও এ ব্যাপারে দলের কোনও নেতাই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। তবে কেউ কেউ বলছেন, শরিকদের পাশে নিয়েই লড়তে চান তারা। অন্যদিকে, এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। তবে তাঁর কটাক্ষ ফ্রন্টের মেজো ও ছোট শরিকরা ভোট জিততে সিপিএমের ওপরেই নির্ভর করে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)