চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছোঁয়ার স্বপ্ন আপাতত অধরা থেকে গেছে ভারতের কাছে। চন্দ্রপৃষ্ঠ ছুঁতে গিয়েই সেখানে ভেঙে পড়ে বিক্রম ল্যান্ডার (Vikram Lander)। এবার সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারকে পরোক্ষে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বুধবার ওই তৃণমূল নেতা (Saugata Roy) লোকসভায় দাবি করেছেন যে চন্দ্রযান ২-এর (Chandrayan 2) অভিযানের "ব্যর্থতা"-র পিছনে দায়ী ব্যক্তিদের সামনে আনুক কেন্দ্র। অনুদানের পরিপূরক দাবি সম্পর্কিত এক বিতর্ক চলাকালীন সৌগত রায় মহাকাশ বিভাগকে অতিরিক্ত তহবিল সরবরাহ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, চাঁদে বিক্রমের ভেঙে পড়ার ঘটনা দেশের নাম খারাপ করেছে। ভারতের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সৌগত রায়ের এই তীর্যক মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয় ট্রেজারি বেঞ্চে।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে চন্দ্রযান ২ সংক্রান্ত মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, দাবি ওঠে লোকসভায়। বেঁধে যায় তুমুল হট্টগোল।
ওই বিতর্ক চলাকালীন সভাপতির দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি তৃণমূল সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন যে, ভারতের এই চন্দ্রাভিযান ঐতিহাসিক ছিল, এবং ভারতের মহাকাশ কর্মসূচি খুব ভালভাবেই চলছে এবং সংসদের প্রতিটি সদস্যের এ সম্পর্কে ভাল করে জেনে তারপর কথা বলা উচিত।
অবশেষে মিলল চন্দ্রযান-২ এর মুন ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ, চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ারকে কৃতিত্ব নাসার
গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেয় সে। ফলে আশঙ্কা করা হয় যে চাঁদের মাটিতেই ভেঙে পড়েছে বিক্রম।
এরপর ১০ সেপ্টেম্বর ইসরো তার ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দেয় যে ল্যান্ডার বিক্রম যে চাঁদের জমিতে অবতরণের চেষ্টা করেছিল সেই সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে লুনার অরবিটার। তবে এখনও ওর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সংস্থাটি জানায়, "যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য সবরকমের সম্ভাব্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে"। পরে জানা যায়, চন্দ্রপৃষ্ঠের উপর অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে ল্যান্ডার বিক্রম।
ভারত যদি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের এই পরিকল্পনাটি সফল করতে পারতো তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের পরে - এই কীর্তি অর্জনকারী চতুর্থ দেশ হত।
দেখুন অন্যান্য খবরও: