এই ঘটনার পর এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে
জয়নগর: বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জয়নগরে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। তিনি বরাতজোরে বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান গাড়ির চালক মনিরুদ্দিন হক মোল্লা, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৈফুদ্দিন খান এবং পথচারী আমিন আলি সর্দার৷ এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। বিশ্বনাথ দাস ওই ঘটনার কয়েক মুহূর্ত আগে দলীয় কার্যালয়ে চলে যাওয়ায় তিনি বেঁচে যান৷ প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
বিশ্বনাথ দাস বলেন, "ওরা আমাকে মারতে এসেছিল। কিন্তু আমি পার্টি অফিসে যাব বলে গাড়ি থেকে নেমে যাওয়াই ভাগ্যের জোরে বেঁচে যাই"৷ বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির হামলায় পুরো ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে তাঁর এসইউভি গাড়িটি। মোটরসাইকেলে করে এসেছিল সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা। হামলার পর তারা এলাকা ছেড়ে তড়িঘড়ি পালায়।
জারিন খানের গাড়ি চালকের গাফিলতিতেই মৃত্যু নীতেশের, অভিযোগ পরিবারের
এই ঘটনার পর এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তে নামে পুলিশ। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। যদিও, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
মোদী সরকারের নীতির ওপর মানুষের অবিশ্বাস ও ক্ষোভই হারাল বিজেপিকেঃ ইয়েচুরি
বিশ্বনাথ দাসের অভিযোগ, সিপিএম ও এসইউসিআই যুগ্মভাবে ষড়যন্ত্র করে এই হামলা ঘটিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন সিপিএম এবং এসইউসিআই- এই দুই দলই। তাদের দাবি, এই ঘটনা তৃণমূলের অন্দরমহলে চলা অন্তর্দ্বন্দ্বেরই ফল।
সিপিএমের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, "আমরা জয়নগরে এমন ঘটনা কখনওই ঘটতে দেখিনি। এটা জঙ্গলের রাজ চলছে"।
রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের তখতে বসছেন কে, জানা যাবে আজ
অন্যদিকে, এসইউসিআই নেতা তরুণ নস্করের কথায়, " তৃণমূলের সবথেকে বড় শত্রু হয়ে উঠেছে তৃণমূল নিজেই। যার ফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ"।