தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Feb 17, 2020

ফিরিয়ে দেওয়া হল বিমানবন্দরে আটকানো ব্রিটিশ সাংসদকে

দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরোতে (A British MP was Denied Entry into India) দেওয়া হল না ব্রিটিশ সাংসদ ডেব্বি আব্রাহামকে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

ব্রিটিশ সাংসদ ডেব্বি আব্রাহামের ভিসা বাতিল করল ভারত।

Highlights

  • সোমবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন ব্রিটিশ সাংসদ ডেব্বি আব্রাহাম
  • অভিবাসনে বা ইমিগ্রেশনে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়, দেওয়া ই-ভিসা বাতিলের যুক্তি
  • কাশ্মীর প্রশ্নে ভারত সরকারের নীতির সমালোচক এই ব্রিটিশ সাংসদ
নয়া দিল্লি :

দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরোতে দেওয়া হল না ব্রিটিশ সাংসদ ডেব্বি আব্রাহামকে। ই-ভিসা (Cancellation of E-Visa) বাতিলের কারন দেখিয়ে তাঁকে ফের ব্রিটেন ফেরত পাঠাতে প্রায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয় ডিপোর্ট রুমে। এমনকি, তাঁর সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করেছে ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Delhi Airpot)। সোমবার সকালে এমন অভিযোগ তুলে দিল্লির ব্রিটিশ হাইকমিশনের দ্বারস্থ ওই সাংসদ (Debbi Abraham)। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদেশ মন্ত্রক কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারত সরকারের নীতির সমালোচক এই ব্রিটিশ সাংসদের এহেন হেনস্থা খানিকটা বিশ্বমঞ্চে বার্তা প্রদান।ইতিমধ্যে, মিউনিখে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানকে পাশে নিতে অস্বীকার করেছে। রিপাব্লিকান সেনেটরের তোলা সেই প্রস্তাব মুখের ওপর খারিজ করেন বিদেশমন্ত্রী। 

"চিরাচরিত ভাবনা" থেকে বেরিয়ে ভারতীয় সেনা বাহিনীতে মহিলাদের নেতৃত্বে সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

তুরস্কর মধ্যস্থতার প্রস্তাব ফিরিয়েছে নয়া দিল্লি। এমনকি, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মধ্যস্থতায় কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে আপত্তি আছে ভারতের। এমন বার্তাও গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। এবার কাশ্মীর প্রশ্নে ভারত সরকারের সমালোচক ওই ব্রিটিশ সাংসদের ই-ভিসা বাতিল করে তাঁকে ভারতে ঢুকতে না দিয়ে ফের একবার বার্তা পাঠাল সাউথ ব্লক বলেই খবর। জানা গিয়েছে, এই ডেব্বি আব্রাহাম কাশ্মীর প্রশ্নে আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ার-ওমেন। গত ৫ অগাস্ট উপত্যকা থেকে সংবিধানের বিশেষ ধারা ৩৭০ প্রত্যাহার করেছিল ভারত সরকার। সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন ওই ব্রিটিশ সাংসদ। এমনকি তাঁর ফেসবুক পেজেও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকার গৃহীত একাধিক নীতির কড়া সমালোচনা করে পোস্ট আছে। 

Advertisement

জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্টসংঘের মহাসচিবের মধ্যস্থতার প্রস্তাবও ফেরালো ভারত

সোমবার ঠিক কী অভিযোগ করেন ডেব্বি আব্রাহাম। ব্রিটিশ দূতাবাসে পাঠানো তাঁর অভিযোগে ডেব্বি লেখেন, "সোমবার প্রায় সকাল ন'টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে নামলে আমাকে ইমিগ্রেশন থেকে বলা হয় আপনার ই-ভিসা বাতিল হয়েছে। অন্য সব যাত্রীদের মতো আমিও সচিত্র সব নথি দেখালেও ওরা মানতে রাজি ছিলেন না। ইমিগ্রেশনের এক আধিকারিক নিজের সিস্টেমে আমার নথি পরীক্ষা করে মাথা নাড়িয়ে বলেন, আপনার ই-ভিসা বাতিল হয়েছে।এরপর আবার পরীক্ষা করতে আমার পাসপোর্ট নিয়ে ওই আধিকারিক উধাও হয়ে যান। দশ মিনিট বাদে ফিরে এসে আমাকে ধমকের সুরে বলেন আসুন আমার সঙ্গে।" ওই মহিলা সাংসদ জানিয়েছেন, এরপর আমি ওই আধিকারিকের আচরণের বিরোধিতা করি। তারপর ওরা আমাকে একটা ঘেরা জায়গায় নিয়ে বসতে বলি। দেখি ওখানে লেখা ডিপোর্টেড সেল। আমি বুঝতে পারছিলাম না ওদের উদ্দেশ্য। তাই আমি দাঁড়িয়ে থাকি এবং চাইছিলাম বিমানবন্দরের অন্য যাত্রীরা আমাকে দেখুক।  

Advertisement

জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্টসংঘের মহাসচিবের মধ্যস্থতার প্রস্তাবও ফেরালো ভারত

তাঁর আরও দাবি, "আমি যে আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করতে ভারতে এসেছি; এরপর তাঁকে ফোন করি। এরপর সেই আত্মীয় এসে ইমিগ্রেশন কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ফোন করেন ব্রিটিশ দূতাবাসে। এমনকি, ভিসা অন অ্যারাইভালের জন্য দরবার করতে থাকেন সেই আত্মীয়।কিন্তু কোনও তরফ থেকেই প্রত্যুত্তর মেলেনি।" পরে অবশ্য ইমিগ্রেশনের সেই আধিকারিক আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন উনিও জানেন না আসল সমস্যা কথায়। বিবৃতিতে জানান ওই ব্রিটিশ সাংসদ। তাঁর ওই বিবৃতিতে আরও লেখা ছিল; "আশা করব ভারত সরকার নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করবে এবং আমাকে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেবে। ওই সাংসদ দাবি করেছেন, তাঁর ই-ভিসা ২০১৯ অক্টোবর থেকে ২০২০ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ ছিল। 

Advertisement