This Article is From Jan 25, 2019

দেশের কয়েক কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রীর লেখা ব্যক্তিগত চিঠি

দু’পাতার ওই চিঠির খামের ওপর লেখা- প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা। ওই চিঠিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের বিস্তারিত উল্লেখও থাকবে।

দেশের কয়েক কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রীর লেখা ব্যক্তিগত চিঠি

আমার লক্ষ্য হল দরিদ্র, সাধারণ মানুষ এবং মহিলাদের শক্তিশালী করে তোলা, চিঠিতে লেখেন মোদী

তিরুবনন্তপুরম, নিউ দিল্লি:

লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। নিজেদের মতো করে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে আরম্ভ করেছে দেশের ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দল। পিছিয়ে নেই শাসক দল বিজেপিও। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্বাচনের আগেই তাঁর লিখিত চিঠি পৌঁছে যাবে দেশের কোটি কোটি নাগরিকের বাড়িতে। নরেন্দ্র মোদী তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত- প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা', যা বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যপ্রকল্পও বটে, তার ১০০ দিন পূর্ণ হওয়া নিয়ে চিঠি লিখবেন। ১৫.৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্তত ৭.৫ কোটি চিঠি ছাপিয়েছে ভারত সরকার। দু'পাতার ওই চিঠির খামের ওপর লেখা- প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা। ওই চিঠিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের বিস্তারিত উল্লেখও থাকবে।

“আমি আমার জীবনে দারিদ্রকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। দরিদ্রদের তাঁদের দুরবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়ার একটাই উপায়।  তা হল, তাঁদের শক্তিশালী করে তোলা। সেই কারণেই, যেদিন থেকে দেশের সাধারণ মানুষহ আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছেন, সেদিন থেকেই আমার লক্ষ্য হল দরিদ্র, সাধারণ মানুষ এবং মহিলাদের শক্তিশালী করে তোলা। বাড়ি তৈরি করা থেকে শুরু করে যুবসমাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা পর্যন্ত বহু প্রকল্পই আমরা অতি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য পর্যন্ত সমস্ত বিভাগই সেই কাজের ছাপ বহন করে চলেছে…”,  স্থানীয় ভাষায় লেখা নরেন্দ্র মোদীর চিঠিতে এই কথাগুলোই থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা দিয়ে চিঠিটি শেষ করার আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজালা যোজনা, সৌভাগ্য প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা যোজনা এবং অন্যান্য প্রকল্পের ব্যাপারেও বিস্তারিত উল্লেখ করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী ওই বিশেষ চিঠিটিতে।

2n6hs0bo

যদিও এই চিঠি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সিপিএম সাংসদ এম বি রাজেশ বলেন, “স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প নিয়ে যে চিঠিটি লেখার কথা, তাতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর আমলের অন্যান্য প্রকল্পের ফিরিস্তিও দিয়ে দিচ্ছেন। এটা নির্বাচনী প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। এছাড়া, স্পিড পোস্টে প্রতিটি চিঠি পাঠাতে গেলে চিঠি পিছুই খরচ পড়বে ৪০ টাকা। মোট চিঠির সংখ্যা সাড়ে সাত কোটি। হিসেব করে দেখুন, কত কোটি টাকা খরচ হবে শুধুমাত্র চিঠির জন্য। অথচ, প্রধানমন্ত্রীর এই স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্পটি ২০০০ কোটি টাকার আশেপাশেই। প্রশ্ন হল, এত এত টাকা আসছে কোথা থেকে?”

যদিও, বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, এটা নির্বাচনী গিমিক নয়। বহু মানুষ এখনও এই স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্পের সম্বন্ধে অবগত নয় বলেই এই চিঠির মাধ্যমে তাঁদের প্রকল্পটির ব্যাপারে জানানোর প্রয়োজন মনে করছে ভারত সরকার।

.