রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
তিন তালাকের সংশোধিত বিলে বলা হয়েছে অপরাধ প্রমাণিত হলে তিন বছরের সাজা পর্যন্ত হতে পারে। এটারই বিরোধিতা করছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দল গুলি। তাদের যুক্তি অন্য কোনও ধর্মে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য শাস্তি হয় না। তাহলে এখানে হবে কেন? একই সঙ্গে বিরোধী দলের তরফে বার বার বলা হয়েছে স্বামী জেলে থাকার সময় স্ত্রীয়ের দেখভাল করবে তা আইনে বলা নেই। এটাও আপত্তির কারণ। আর তার জেরে বিল পেশ হতে না হতেই শুরু হয় গোলমাল। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যসভা মুলতবি হয়ে যায় ।
এর আগে এই রাজ্যসভাতেই আটকে যায় বিলটি। পরে সেটিকে সংশোধন করে লোকসভায় পাস করানো হয়। এবার আবার রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে তিন তালাকা বিল।
সংশোধিত বিলে তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ। আর শস্তি হিসেবে তিন বছরের জেলের কথা বলা হয়েছে।
সরকার বলছে সুপ্রিম কোর্ট তালাককে অবৈধ বলেছে। আর সংসদকে আইন পাসের কথাও বলেছে আদালত। এই যুক্তি মানতে রাজি নয় বিরোধীরা। সেই দলে বিজেডি থেকে শুরু করে এআইএডিএমকেও আছে । এই দল গুলি অতীতে কয়েকটি ব্যাপারে সরকারের পাশে থেকেছে।
কংগ্রেসের পাল্টা যুক্তি সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাকের দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার কথা বলেনি। সেই যুক্তিতেই তারা ওয়াকআউট করে। তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকেও ওয়াক আউট করেছিল।
লোকসভায় বিলটি পেশ করে আইনমন্ত্রী দাবি করেন কষ্ট নিয়ে দিন গুজরান করা মহিলাদের নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। তাঁর আরও দাবি কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করতেও এমনটা করা হয়নি।
আইনমন্ত্রীর দাবি রাজ্যসভায় বিলটি বিভিন্ন দলের সমর্থন পাবে। কিন্তু কংগ্রেসের কে সি বেনুগোপাল জানান সরকারের বিরোধিতায় দশটি দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি মনে করেন মুসলিম মহিলাদের সম্মান এবং মর্যাদা দেওয়ার লক্ষ্যে লোকসভায় তিন তালাক বিল পাস করানো ছিল এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।পাশাপাশি তাঁর মনে হয় দশকের পর দশক ধরে মহিলাদের সঙ্গে বঞ্চনা করার জন্য কংগ্রেসের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
সেপ্টেম্বর মাসে অর্ডিন্যান্স নিয়ে আসে সরকার। বিল আইনে পরিণত হয়ে গেলে সেটির আর কোনও কার্যকারিতা থাকবে না।
২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ বলে তাৎক্ষনিক তিন তালাক অবৈধ।