দলের শীর্ষ নেতাদের সম্পত্তির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে ব্যাখা চান বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
কলকাতা: "কাটমানি" নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। জুন-জুলাইয়ের তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বাকযুদ্ধের পারদও। "কাটমানি" ইস্যুতে এমনিতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তারমধ্যেই মঙ্গলবার কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগল বিজেপি। পাশাপাশি তাদের প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলে "কাটমানি" নেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে, সেই টাকা সাধারণ মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এদিন দক্ষিণ কলকাতার হাজরা রোড ক্রসিং-এ সভা করে গেরুয়া শিবির। ওই এলাকায় বাড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই সভা থেকে কয়েকজন তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তির বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ করে গেরুয়া ব্রিগেড।
"পরিস্থিতি অনুকুলে হলে তিস্তার জলচুক্তি মেনে নিতাম", বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিনের সভা থেকে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “আমরা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে, যেসব নেতারা কাটমানি নিয়েছেন, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করব এবং যাঁদের থেকে সেই টাকা নেওয়া হয়েছিল তাঁদের ফিরিয়ে দেব”। তিনি বলেন, দলের নেতা ও কাউন্সিলদের ২৫ শতাংশ কাটমানি সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, সায়ন্তন বসু আরও বলেন, “বেশীরভাগ তৃণমূল নেতাই বলছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে তাঁরা মোটা অঙ্কের ভাগ দিয়েছেন। এটার কী হবে? তৃণমূল সুপ্রিমো এবং তাঁর ভাইপো (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) কে এর উত্তর দিতে হবে”।
“কাট মানি” নিয়ে ফের তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গত মাসে দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে তিনি বলেন, “কিছু নেতা ঘর অনুমোদনের জন্য ২৫ শতাংশ কমিশন চেয়েছেন। এটা খুব দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার। যদি আপনারা কেউ নিয়ে থাকেন, তাহলে তা ফেরৎ দিন”।দলের নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, তৃণমূলে “চোরদের” চান না তিনি।
“কাট মানি” নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ
দলের শীর্ষ নেতাদের সম্পত্তির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে ব্যাখা চান বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। ২১ জুলাই “শহিদ দিবস” পান করে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগে তৃণমূল নেতাদের, সাধারণ মানুষের থেকে আদায় করা কাটমানি ফেরৎ দিতে বলেন যুবমোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সিনহা। তিনি বলেন, “যদি তাঁরা (তৃণমূল নেতা) শহিদ দিবসের সভার আগে টাকা ফেরৎ না দেন, তাঁদের জনরোষের সম্মুখীন হতে হবে”।
“কাট মানি” নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান, কলকাতা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, পুরুলিয়া ও জলপাইগুড়িতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছেন বহু পুরসভা ও পঞ্চায়েতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)