This Article is From Jun 24, 2019

দলের ৯৯.৯% কর্মী কঠোর পরিশ্রমী, ‘কাটমানি’ নিয়ে সংবাদ বিকৃত করেছে সংবাদমাধ্যম: তৃণমূল

৯৯.৯ শতাংশ দলীয় কর্মীই কঠোর পরিশ্রমী ও জনতার সেবা করতে দায়বদ্ধ। ‘কাটমানি’র খবর মিডিয়ার বিকৃত খবর পরিবেশনেরই ফল। এমনই দাবি তৃণমূলের।

দলের ৯৯.৯% কর্মী কঠোর পরিশ্রমী, ‘কাটমানি’ নিয়ে সংবাদ বিকৃত করেছে সংবাদমাধ্যম: তৃণমূল

পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলীয় প্রতিনিধিদের বৈঠকের সংবাদকে বিকৃত করে পরিবেশন করেছে।

হাইলাইটস

  • বহু নেতার বাড়ির বাইরে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে ‘কাটমানি’কে কেন্দ্র করে।
  • ‘কাটমানি’ নিয়ে সরব বিরোধীরাও।
  • বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘এটা এখন ওপেন সিক্রেট।’’
কলকাতা:

বহু নেতারই বাড়ির বাইরে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে ‘কাটমানি'র (Cut money) ইস্যুকে কেন্দ্র করে। রবিবার তৃণমূল (TMC) জানিয়ে দিয়েছে, সংবাদমাধ্যম তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দলের নির্বাচিত সাংসদদের কথোপকথনের খবরটিকে বিকৃত করাতেই এই বিপত্তি। তারা জানিয়ে দিয়েছে, ৯৯.৯ শতাংশ দলীয় কর্মীই কঠোর পরিশ্রমী ও জনতার সেবা করতে দায়বদ্ধ। বীরভূম, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বর্ধমান, মালদা, পুরুলিয়া, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন পৌরসভা ও পঞ্চায়েতে তৃণমূল নেতাদের জনতার ক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছে। একটি বিবৃতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমের একাংশ সম্প্রতি তৃণমূল চেয়ারপার্সনের (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে দলীয় কর্মী এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বৈঠকের সংবাদকে বিকৃত করে পরিবেশন করে। চেয়ারপার্সন তাঁর পরামর্শে অক্লান্ত ভাবে মানুষের কাজ করার জন্য বলেছিলেন। এবং জানিয়েছিলেন, সমস্ত জনকল্যাণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ সম্ভাব্য সব খাতেই যেন খরচ হয়।''

বিজেপি যেন ‘জঙ্গি সংগঠন, গুন্ডা ভাড়া করে এনেছে রাজ্যে': তৃণমূল

পার্থ আরও বলেন, অন্য রাজনৈতিক দলের লোকেরা তৃণমূলের নামকে কলঙ্কিত করা চেষ্টা করছে। তিনি ‌বলেন, পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের কিছু সদস্য বিজেপিতে গিয়েছেন নিজেদের কায়েমি স্বার্থ ও ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা এমনটা করেছেন এই আশাতে যে, এর দ্বারা তাঁদের অপরাধগুলি মুছে ফেলা যাবে।''

লিচু নয়, এনকেফেলাইটিসে ১৫০ শিশুর মৃত্যর কারণ দারিদ্র্য আর অপুষ্টি!

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল উত্তর কলকাতার এক প্রোমোটারের কাছ থেকে ‘কাটমানি' নেওয়ার। শান্তু অবশ্য অভিযোগটিকে ‘‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত'' বলে উড়িয়ে দেন। এক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের দলের নেত্রী আমাদের সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন কোনও রকম দুর্নীতিতে না জড়াতে। এবং যদি কারও থেকে ‘কাটমানি' আমরা কেউ নিয়েও থাকি, তা ফিরিয়ে দিতে বলেন। তিনি আমাদের বলেছেন, যদি কেউ সরকার প্রকল্প থেকে ‘কাটমানি' নেন বা কোনও রকম সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।''

সম্প্রতি তৃণমূলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে একটি বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘আমি আমার দলে চোরদের চাই না। আমি পদক্ষেপ করে তারা অন্য দলে যোগ দেবে। কোনও কোনও নেতা গরিব মানুষের থেকে বাড়ির অনুদান পাইয়ে দেওয়ার জন্য কমিশন বাবদ ২৫ শতাংশও চেয়েছেন। এগুলো দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার। যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকেন, ফিরিয়ে দিন।''

এই নির্দেশে অসন্তুষ্ট হয়েছেন দলের কয়েক জন কাউন্সিলর ও নেতা। নদিয়ার এক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ‘‘এটা এক ধরনের অপমান। আমরা যদি ‘কাটমানি' নিয়ে থাকি, তাহলে আমরা তার অংশ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরও দিয়েছি। তার কী হবে? তাঁরা কি সেই টাকা ফেরত দেবেন?''

তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, ‘‘যে সরাসরি ‘কাটমানি' নিচ্ছে সে কেবলই সামনের মানুষ। তার পিছনে অনেকেই রয়েছে। তারাও তাদের শেয়ার নিয়েছে। কাজেই টাকা ফেরত দেওয়ার সময় সেই ‘চেইন' মেনেই দিতে হবে।''

এমন একটা ইস্যু সামনে আসায় বিরোধী দলগুলিও সরব হয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘এটা এখন সকলের জানা ‘ওপেন সিক্রেট' যে তৃণমূল ‘কাটমানি' ও কমিশন নেয়। এখন মানুষ এর প্রতিবাদ করা শুরু করেছেন।''

কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র দাবি করেছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি সহ সমস্ত তৃণমূল নেতানেত্রীকে তাঁদের মোট সম্পত্তির হিসেব দিতে হবে।

.