অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে মাটির ঘর বাড়ির ক্ষতি হতে পারে (প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: গত ৬ ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আমফান । পারাদ্বীপ থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়টি। রাজ্যের দিঘা থেকে রয়েছে ১০৮০ কিলোমিটার দূরে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ভয়ঙ্কর ঝড়। এই ঝড় এখন অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আগামী ১২ ঘন্টায় এটি অতি তীব্র ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার ওপর ২০ তারিখ সন্ধ্যে বা রাত্রে আছড়ে পড়বে অতি তীব্র ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হয়ে।
ঝড়ের গতিবেগ এখন ১২৫ থেকে ১৪০ কিলোমিটার রয়েছে। ১৮ তারিখই গতিবেগ আরও বাড়বে এই ঝড়ের । ১৮ তারিখ বিকেলের দিকেই এর গতিবেগ পৌঁছে যাবে ১৮০ কিলোমিটার।১৯ তারিখ এটি অতি ভয়ঙ্কর ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নেবে।তখন তার গতিবেগ ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে।
আমফানের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টি হবে।উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পরিমাণ ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।বৃষ্টির পরিমাণ ২০ তারিখ অর্থাৎ বুধবার আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টির পরিমাণ সে ক্ষেত্রে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
রাজ্যের উপকূল অঞ্চলে ঝড়ের গতিবেগ আগামীকাল ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার আশপাশে থাকবে। তারপরেই বাড়তে থাকবে এর গতিবেগ।কুড়ি তারিখ ঝড়ের গতিবেগ ১৫৫ কিলোমিটার পেরিয়ে যেতে পারে প্রতি ঘন্টায়।
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে এর ফলে ।অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে মাটির ঘর বাড়ির ক্ষতি হতে পারে। পুরনো বাড়ির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এর ফলে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যেতে পারে। বড় গাছ উপরে যেতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। মৎস্যজীবীদের জন্য সর্তকতা জারি করা হয়েছে । ১৮ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি যারা ইতিমধ্যেই মাছ ধরতে গিয়েছেন তাদের ১৭ তারিখের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে সমুদ্র থেকে।