নয়াদিল্লি: ক্রমশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তাই সতর্কতা অবলম্বনে ওড়িশার (Odisha Coast) ১২টি জেলাকে চূড়ান্ত ভাবে প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, আম্ফান (Cyclone Amphan) আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিণত হবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এবং সোমবার সকালের মধ্যে তা আরও মারণ আকার ধারণ করে পরিণত হবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর আইএমডি-র (IMD) তরফে একথা জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এগোবে ১৭ মে পর্যন্ত। তারপর তা দিশা বদলে ধেয়ে আসবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। ১৮ থেকে ২০ মে-র মধ্যে তা উত্তর ওড়িশা উপকূলের উপর দিয়েও প্রবাহিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রথমে ৬৫ থেকে ৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। পরে তা বেড়ে ৮৫ কিনি প্রতি ঘণ্টা হবে। ক্রমে দক্ষিণপূর্ব দিকে এগিয়ে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণপশ্চিমে পৌছবে। তখন তার গতি বেড়ে ৯০-১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হবে। ক্রমে তা বেড়ে ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হবে।
"পরিযায়ীদের দুর্দশা অসহনীয়! চোখে জল চলে আসে", কেন্দ্র-রাজ্যকে উপহাস মাদ্রাজ হাইকোর্টের
এরপর ১৮ মে সকালে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ অঞ্চলে ঝড়ের গতি বেড়ে ১২৫-১৩৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা হবে। যা ক্রমে ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হবে। বঙ্গোপসাগরের উত্তরে তার গতি বেড়ে ১৬০-১৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে ১৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় হবে ১৯ মে। ২০ মে সকালে আম্ফানের গতি ১৫৫-১৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে ১৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টার মধ্যে থাকবে।
আগামী ১৬-১৭ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। এরপর ১৭-১৮ মে মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং ১৯-২০ মে উত্তর বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
ইসরোর প্রযুক্তি আর সম্পদ ব্যবহার করতে পারবে বেসরকারি সংস্থা: অর্থমন্ত্রী
এই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি দল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দল এবং রাজ্যের অগ্নি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৩৩৫ ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রস্তুত থাকতে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। অস্থায়ী মেডিক্যাল কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বালাসোর, ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া ও জগৎসিংপুরের সমুদ্র উপকূলের ৩ কিমি পর্যন্ত। এই সব অঞ্চলের হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি, জেনারেটর, ওষুধ, ব্লিচিং পাউডারের বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা সূত্রে খবর, লকডাউন ও সংক্রমণ আবহে বাড়ির বাইরে লোক জমায়েত কম। ফলে এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রানহানির আশঙ্কা অনেকটাই কম।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)