Cyclone Amphan: বুধবার বিকেলের মধ্যেই আমফানের হানা, হতে পারে বহু ক্ষয়ক্ষতি
হাইলাইটস
- কলকাতার কিছু অংশে প্রবল ধ্বংসলীলা চালাতে পারে আমফান
- ওই ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করতে কলকাতায় জারি রেড অ্যালার্ট
- বুধবার সন্ধের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ওই ঝড়ের
কলকাতা: বুধবার বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যেই রাজ্যে আছড়ে (Amphan Bengal) পড়তে পারে "অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়" আমফান। এর (Amphan) প্রভাবে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলায় চলছে লাগাতার ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। আমফান আতঙ্কে (Amphan in Kolkata) ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বিমানবন্দরের যাবতীয় কাজকর্ম। আমফানের প্রভাবে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কায় আগে থাকতেই কলকাতায় বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাজার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় কমপক্ষে ৩ লক্ষ মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। এরাজ্যের আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,"বিরাট ক্ষতির কারণ" হতে পারে আমফান। পাশাপাশি এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শহর কলকাতার কিছু অংশ হতে পারে "মারাত্মক ক্ষতি", একথাও জানিয়েছেন তিনি। ওই ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করতে কলকাতায় তাই জারি করা হয়েছে "রেড অ্যালার্ট" বা "লাল সতর্কতা"।
আমফানের প্রভাবে দিঘার সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস, বাংলায় বহু জায়গায় ভূমিধস
ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে এবং সঙ্গে নাগাড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বাংলার সাতটি জেলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাবের সম্মুখীন হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আমফানের মোকাবিলায় সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘূর্ণিঝড় আমফানের ফলে যে যে জায়গায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে সেই "রেড প্লাস জোনগুলি" পর্যবেক্ষণ করেন। পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "আমি বুধবার রাতে এই কন্ট্রোল রুমে থাকব"।
প্রকৃতির রোষে বাংলা? আমফানের আতঙ্কের মধ্যে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কিছু এলাকা
পাশাপাশি কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার মানুষজনকে আপাতত ঘরবন্দি থাকার বিষয়েই অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই ঘূর্ণিঝড়টি ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে, সুতরাং মানুষজনকে অনুরোধ করছি, আপনারা এই সময় ঘর ছেড়ে দয়া করে বাইরে বের হবেন না"।
আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী আমফান প্রবল বেগে বয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা হয়ে বাংলাদেশের হাতিয়ার দিকে, এর ফলে এরাজ্যে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সঙ্গে চলবে লাগাতার ভারী বৃষ্টি। এদিকে পূর্ব উপকূলে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে "হাই অ্যালার্ট" বা "চূড়ান্ত সতর্কতা" জারি করা হয়েছে।
যে কোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফের ৪০ টি দল পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় মোতায়েন করা হয়েছে। এনডিআরএফের প্রধান মঙ্গলবার বলেন, "COVID-19 মহামারীর মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় আসলে একটি দ্বিতীয় বিপর্যয়"। এর ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা।
যেভাবে আমফানের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তাতে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমস্যায় পড়া যেকোনও ব্যক্তি সাহায্যের জন্যে ফোন করতে পারেন, খুলে দেওয়া হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বর।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ফোন করতে পারেন 1070 এই হেল্পলাইন নম্বরটিতে। এদিকে কলকাতার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে তার নম্বরগুলি হল: 033-2214-3024, 033-2214-1310 এবং 033-2214-3230।