This Article is From May 20, 2020

ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রকোপে প্রথম মৃত্যু বাংলাদেশে

ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রকোপে প্রথম মৃত্যু হল বাংলাদেশে। ২০ বছরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে প্রথম ঘূর্ণিঝড় এটিই।

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by

ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Cyclone Amphan) প্রকোপে প্রথম মৃত্যু হল বাংলাদেশে (Bangladesh)। ২০ বছরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে প্রথম সুপার সাইক্লোন এটিই। ভারত ও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার এক ঘণ্টা আগেই এর প্রকোপে বাংলাদেশে প্রাণ হারালেন একজন। বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার কথা আমফানের। সমুদ্রের ঢেউ ১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ধরনের জলোচ্ছ্বাসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকেই আমফানের প্রকোপে ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়। শেষ আপডেট অনুযায়ী দিঘা থেকে ৯৫ কিমি দূরে রয়েছে আমফান। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৮৫ কিমি/ঘণ্টা। দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপে আমফান আছড়ে পড়ার আগেই প্রায় ২ কোটি মানুষকে ১২,০০০ ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

স্থলভাগে ঢুকে গেছে আমফান, রাজ্য জুড়ে প্রবল বৃষ্টি

বাংলাদেশের উপকূল অংশে প্রায় ৩ কোটি মানুষের বাস। এর পাশাপাশি ভারতের পূর্বদিকেও বারবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা গিয়েছে। যার প্রকোপে হাজার হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে।

Advertisement

আতঙ্কের নাম আমফান! জেনে নিন ঘূর্ণিঝড়ের সাম্প্রতিক অবস্থান

১৯৯৯ সালে সুপার সাইক্লোন দেখা গিয়েছিল ওড়িশায়। সেবার সাইক্লোনের প্রকোপে ১০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। তার আট বছর আগে বাংলাদেশে টাইফুন, টর্নেডো ও বন্যার প্রকোপে ১,৩৯,০০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড় ভোলার প্রকোপে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ মারা যান।

Advertisement

বাংলাদেশের আতঙ্ক, আমফানের ধাক্কাতে প্রবল ক্ষতি হতে পারে। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর-এৱ প্রকোপে ৩,৫০০ মানুষ মারা যান ও প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়। এবার তার থেকেও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement