தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From May 21, 2020

সাইক্লোন আম্ফানের বলি ৭২, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীর

Cyclone Amphan: সাইক্লোন আম্ফানে মৃতদের পরিবারকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement
সিটিস Reported by , Edited by

রাজ্যে বুধবার আছড়ে পড়ে সাইক্লোন আম্ফান, ফলে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়।

কলকাতা:

সাইক্লোন আম্ফানের (Cyclone Amphan) তাণ্ডবে এ রাজ্যে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । বুধবার রাজ্যে আম্ফানের তাণ্ডবে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে, ফলে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি মাথায় রেখে মানুষকে নিরাপদ জায়গায়. পৌঁছে দিতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় প্রশাসনকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে এই ধরণের বিপর্যয় দেখেননি তিনি এবং প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাবেন। তাঁর কথায়, “বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। আমি ঘোষণা করছি, সাইক্লোন আম্ফানে মৃতদের পরিবারকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে”।

রাজ্যে বুধবার আছড়ে পড়ে সাইক্লোন আম্ফান, ফলে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝডড় বয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পুরো দেশ বাংলার সঙ্গে রয়েছে, এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে কোনও কার্পণ্য করা হবে না।

Advertisement

গতকাল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন. করোনা ভাইরাস অতিমারীর থেকেও পরিস্থিতি ভয়াবহ আম্ফানের প্রভাবে, পাশাপাশি রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার আম্ফানের প্রভাবে কলকাতায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে থাকে, গাড়ি পর্যন্ত উল্টে যায়, গাছ, বিদ্যুৎ এর খুঁটি পড়়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। কলকাতায় ভেঙে পড়ে বহু ঘরবাড়ি। বন্ধ থাকা কলকাতা বিমানবন্দরের একাংশ ভেঙে পড়ে এবং প্লাবিত হয়।

Advertisement

উত্তর ও ২৪ পরগনা জেলায় আছড়ে পড়ে সাইক্লোন আম্ফান, ফলে সেখানে ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টি হয়। সেখানেও বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে এবং রাস্তায় গাছ, বিদ্যুৎ এর খুঁটি উপড়ে পড়ে। প্লাবিত হয় নিম্নবর্তী এলাকাগুলি।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সর্বনাশ হয়ে গেল...যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে”।

Advertisement

ঝড়ের সময় নবান্নের কন্ট্রোলরুমে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, তাহলেও এত বড় ঝড় হবে তচা জানা ছিল না রাজ্য প্রশাসনের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত এলাকাগুলি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, সেগুলি এখনই স্বাভাবিক হবে না। ঝড়ের গতিপ্রকৃতিকে “তাণ্ডব” বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

১৯৯৯ সালে বঙ্গপোসাগরে তৈরি হওয়া সুপার সাইক্লোনর পর এটি দ্বিতীয় সেই আকারের সাইক্লোন। ১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোনে ওড়িশায় প্রায় ১০,০০০ লোকের মৃত্যু হয়।

Advertisement

Advertisement