রইল আমফানের অগ্রগতির ১০ টি তথ্য:
ঘূর্ণিঝড়টির আকার একটি আংটির মতো। ঝড়টির ‘আই'-কে ঘিরে বাতাস পাক খাচ্ছে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে।
আমফান রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, হুগলি ও কলকাতায় আছনে পড়বে।
আমফান আছড়ে পড়লে ভারী বাতাস বইবে পূর্ব থেকে পশ্চিমে।
দুই ২৪ পরগনায় ঝড়ের গতি থাকবে ১৫৫-১৮৫ কিমি/ঘণ্টা। কলকাতায় গতি থাকবে ১১০-১২০ কিমি/ঘণ্টা।
উত্তর দিকে আমফান ক্রমশ এগিয়ে চললে ঝড়ের চোখ সমস্ত এলাকা পেরিয়ে এগিয়ে যাবে। তার আগে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবল ঝড় হবে। ঝড়ের চোখটি এলারা পেরিয়ে চলে গেলে বাতাসের বেগ কমবে। এরপর এমনকী নীল আকাশও দেখা যেতে পারে।
তবে সেক্ষেত্রেও ঝড় শেষ হয়ে গেছে ভেবে বাইরে বেরনো যাবে না। কেননা চোখটি চলে যাওয়ার ৩৫-৪৫ মিনিট আবার ঝড় শুরু হবে। কেননা তখন ওই আংটির দক্ষিণ অংশ তাণ্ডব শুরু করবে।
এবার বাতাস বইবে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে। গতি আগের থেকেও বাড়তে পারে। এমনটা চলবে ৩০-৪৫ মিনিট।
উপকূল অঞ্চলে এটি আছড়ে পড়লে ৪-৫ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস দেখা যাবে।
প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ফলে নদীর জলও উপচে পড়বে। প্রায় ১০-১৫ কিমি পর্যন্ত সেই জল চলে আসার সম্ভাবনা।
এই ঝড় এতটাই বিপজ্জনক হবে যে সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে আবহাওয়াবিদরা।