Cyclone Amphan: আমফানের কবলে পড়ে হতে পারে ভয়াবহ বন্যা।
নয়াদিল্লি: রাজ্য কাঁপছে আমফান (Cyclone Amphan) আতঙ্কে। বুধবারই উপকূল অঞ্চলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘুর্ণিঝড় আমফান (Amphan)। আমফানের প্রকোপে অভূতপূর্ব বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া পূর্বাভাসকারী সংস্থা ‘স্কাইমেট'। গত ২০ বছরে এটাই প্রথম সুপার সাইক্লোন। স্কাইমেটের তরফে জিপি শর্মা জানাচ্ছেন, ১৯৯৯ সালে ওড়িশার সুপার সাইক্লোনের পরে আর কোনও সুপার সাইক্লোনের দেখা মেলেনি। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১০০ কিমি দূরে আমফানের অবস্থানের দিকে তাকিয়ে জিপি শর্মা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার সময় এর গতিবেগ থাকবে ১৫০ কিমি/ঘণ্টা। তিনি জানাচ্ছেন, এর প্রকোপে অভূতপূর্ব বন্যা হবে। জিপি শর্মা বলেন, ‘‘ওটা ওড়িশা পেরোলেই পারাদ্বীপ, চাঁদবালি, বালাসোর ও ভদ্রকে ২০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হবে। হাওয়ার গতি থাকবে ১০০ কিমি/ঘণ্টারও বেশি।''
বিকেল ৪ টে থেকে ৬টার মধ্যে এরাজ্যে আছড়ে পড়বে আমফান, সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি
রাজ্যে আমফানের প্রথমে আছড়ে পড়ার কথা দিঘায়। কিন্তু জিপি শর্মার মতে, তা আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবনে।
সরকারি আপডেট অনুযায়ী, দিঘা ও হাতিয়ার মধ্যে দিয়ে যাবে আমফান। সুন্দরবনে পৌঁছবে বিকেল ৪টের সময়। সেই সময় এর গতিবেগ থাকবে ১৫৫-১৬৫ কিমি/ঘণ্টা। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৮৫ কিমি/ঘণ্টা।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান এসএন প্রধান জানাচ্ছেন, সমুদ্রের ঢেউ ৪ থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে।
আমফানের প্রভাবে দিঘার সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস, বাংলায় বহু জায়গায় ভূমিধস
এই ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় বড় ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে মৎস্যজীবীদের বুধ ও বৃহস্পতিবার সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেন যে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, যতক্ষণ না এই ঝড়ের দাপট কমে আসে ততক্ষণ যেন রাজ্যের মৎস্যজীবীরা সমুদ্রের ধারেকাছে না যান।