This Article is From May 19, 2020

Cyclone Amphan: এসএমএস ও সাইরেনের মাধ্যমে সতর্ক করবে ওড়িশা

ওড়িশা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সমস্ত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে এসএমএসের মাধ্যমে সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যাপারে।

Cyclone Amphan: এসএমএস ও সাইরেনের মাধ্যমে সতর্ক করবে ওড়িশা

এসএমএসের পাশাপাশি টাওয়ার সাইরেন বাজিয়েও লোককে সতর্ক করে দেওয়ার কথা ভাবছে ওড়িশা সরকার।

ভুবনেশ্বর:

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান (Cyclone Amphan)। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তার আগমনীতে আতঙ্কের প্রহর গুনছে ওড়িশাও (Odisha)। এই পরিস্থিতিতে ওড়িশা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সমস্ত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে এসএমএসের মাধ্যমে সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যাপারে। পাশাপাশি টাওয়ার সাইরেন বাজিয়েও লোককে সতর্ক করে দেওয়ার কথা ভাবছে ওড়িশা সরকার। রাজ্যের স্পেশাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ জেনা মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ভুবনেশ্বরে নিজের পরিচয় দিয়েছে সাইক্লোন। আমরা জানতে পেরেছি পারাদ্বীপ ও অন্যত্র বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছে। আমরা এসএমএস অ্যালার্ট সিস্টেন চালু করেছি। দুপুর থেকেই আমরা অঞ্চল ভিত্তিক সতর্ক বার্তা প্রেরণ জারি রেখেছি। আমরা সাইরেন চালিয়েও বার্তা দেব।''

ধেয়ে আসছে আমফান, সরানো হল রাজ্যের ৩ লক্ষ মানুষকে

তিনি আরও বলেন, ‘‘সাইক্লোনের ধাক্কায় আজ থেকেই হাওয়া দিতে শুরু করে দিয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। পারাদ্বীপের ৪৭০ কিমি দক্ষিণে রয়েছে আমফান। এটা ২০ মে বিকেল-সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের কাছে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়।''

আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঝড়ের গতি থাকবে ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। প্রশাসন আশঙ্কা করছে ওড়িশা ও উত্তর ওড়িশা উপকূলবর্তী অঞ্চলে ১০০ থেকে ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝড় হতে পারে।

ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফান উল্টে দিতে পারে ট্রেনের কামরা, ভাঙতে পারে ঘর

পরিস্থিতি সামাল দিতে ওড়িশা ডিজাস্টার র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৩১টি, ন্যাশনাল ডিজাস্টার
র‌্যাপিড ফোর্সের ১৫ ও ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের ২১৭টি দল ওড়িশার বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন রয়েছে।

এই সুপার সাইক্লোনে বৃহৎ আকারে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার এটি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছিল এবং মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত এটি পারাদ্বীপের ওড়িশা উপকূল থেকে প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার দূরে এবং রাজ্যের দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার সমুদ্রের দিকে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

.