আমফানের পর জলমগ্ন কলকাতা বিমান বন্দর
কলকাতা: বঙ্গোপসাগর থেকে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Cyclone Amphan) সবচেয়ে বেশি দাপট দেখা গেছে ওড়িশা (Odisha) ও পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। এর দাপটে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন মানুষ।ক্ষতিগ্রস্ত সহস্রাধিক ঘরবাড়ি। বড়ো বিল্ডিং গুলির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। মাটি থেকে উপড়ে গেছে সহস্রাধিক গাছপালা। এই ক্ষয়ক্ষতির বহু ছবি ঘুরছে নেট বিশ্বে। কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিমি. বেগে হাওয়া চলেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে দমদম এলাকায় ঘন্টায় ১৩ কিমি বেগে হাওয়া প্রবাহিত হয়।
আমফানের দাপটে বেশ কিছু এলাকায় দেখা গেছে ভারী বৃষ্টি। রাজ্যের বহু এলাকা জলমগ্ন। জলমগ্ন কলকাতা বিমান বন্দর। ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দরের বেশ কিছু অংশ। বিমানবন্দরের সমস্ত পরিষেবা আজ সকাল ৫ টা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে এখন কার্গো ও উদ্ধার করি সম্পর্কিত কিছু কাজ শুরু হয়েছে।
কলকাতার বহু এলাকায় রাস্তার ওপর পড়ে আছে গাছ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
গাছ পড়ার জন্য বিচ্ছিন্ন হয়েছে বৈদ্যতিক সংযোগ। যার ফলে বহু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, তবে যাতে দ্রুত সবকিছু ঠিক করা যায় তার ব্যবস্থা চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই আমফানের কারণে রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ কোটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে এই ঘটনার জেরে মারা গেছেন ১২ জন মানুষ। দুই পরগনা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আমফান।
এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের বহু এলাকা। আধিকারিকের মতে, ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৬.৫৮ লক্ষ মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
দেখুন আমফানের দাপট: