This Article is From Jul 15, 2020

আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ৯৯ শতাংশ এলাকার মানুষ ত্রাণ পেয়েছেন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

সাইক্লোন আমফানে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ বিলি নিয়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ৯৯ শতাংশ এলাকার মানুষ ত্রাণ পেয়েছেন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল খুবই রাজনীতি করছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা:

সাইক্লোন আমফানে (Cyclone Amphan) ক্ষতিগ্রস্ত “৯৯ শতাংশ” এলাকার মানুষকেই ত্রাণ দেওয়া হয়েছে, এবং “বঞ্ছিত” কয়েকটি এলাকার মানুষকেও দেওয়া হবে, বুধবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । মে মাস থেকে সাইক্লোন আমফানে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ বিলি নিয়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ এবং বিরোধী দলের অভিযোগ, সাইক্লোনে ক্ষতি না হলেও, ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য সরকারের ত্রাণ পেয়েছেন তৃণমূল নেতাদের আত্মীয়, পরিজনেরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে গিয়ে প্রশাসনে তরফে কিছু সামান্য ভুলত্রুটি হয়েছে।

বিধায়কের মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপির

পাশাপাশি যে সমস্ত অযোগ্য ব্যক্তিদের ত্রাণ দেওয়া হয়েছে, তাদের থেকে সেই টাকা ফিরিয়ে, পনরায় তা যথাযথ ব্যক্তি বা পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা বঞ্ছিত হয়েছেন দয়া করে তাঁদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিন। বেশি নয়, সামান্য কয়েকজন বাকি রয়েছেন। যাঁ তাঁদের পাওয়া উচিত, দয়া করে তাঁদের সেটা দিন। প্রায় ৯৯ শতাংশ এলাকার মানুষকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে”। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কারণ, আমরা দ্রুত এটা করার চেষ্টা করেছি, কয়েকজন মানুষের জন্য, কিছু জায়গায় সামান্য কিছু ভুল ত্রুটি হয়েছে। কোনও আপোস করা হবে না। যাঁর যেটা পাওনা, সেটা থেকে তাঁকে বঞ্ছিত করার কারও অধিকার নেই”।

বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল খুবই রাজনীতি করছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সাইক্লোন আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য ৬,৮০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ১০ লক্ষের বেশি মানুষ বাড়ি মেরামতির জন্য ২০,০০০ টাকা করে পেয়েছেন। আর্থিক ত্রাণ বিলি নিয়ে ৪০,০০০ অভিযোগ জমা পড়েছে  এবং ৩৪,০০০ প্রকৃত ব্যক্তিই ত্রাণ পেয়েছেন বলে দেখা গিয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং হাওড়া জেলা থেকে এরকম অভিযোগ জমা পড়েছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.