This Article is From May 20, 2020

আমফানের মোকাবিলায় সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপান, কংগ্রেস কর্মীদের নির্দেশ দিলেন রাহুল গান্ধি

Cyclone Amphan: আজ (বুধবার) দুপুর বা বিকেলের মধ্যেই ওই ঝড় আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গে, বিভিন্ন জেলায় প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে ও এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টি চলছে

আমফানের মোকাবিলায় সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপান, কংগ্রেস কর্মীদের নির্দেশ দিলেন রাহুল গান্ধি

Rahul Gandhi: কংগ্রেস নেতা তাঁর দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষজনকে ঘূর্ণিঝড় থেকে সতর্ক করার বার্তা দিয়েছেন (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • প্রবল বেগে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার দিকে ধেয়ে আসছে আমফান
  • পূর্ব উপকূলে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে "হাই অ্যালার্ট" জারি
  • কংগ্রেস কর্মীদের সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার বার্তা রাহুল গান্ধির
নয়া দিল্লি:

তেড়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। আজ (বুধবার) দুপুর বা বিকেলের মধ্যেই ওই ঝড় (Cyclone Amphan) আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গে। এই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওড়িশা (Odisha) এবং পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। দুই রাজ্যের সরকারই এই দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিলেও প্রমাদ গুণছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে এই পরিস্থিতিতে বাংলা এবং ওড়িশার সাধারণ মানুষের সাহায্যে কংগ্রেস কর্মীদের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। আসন্ন ওই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের সম্পর্কে আমজনতাকে সতর্ক করতে এবং তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সাহায্য করতেও নির্দেশ দেন কংগ্রেস সাংসদ। মঙ্গলবারই এনিয়ে তিনি হিন্দিতে টুইট করেন। রাহুল গান্ধি তাঁর টুইটে লেখেন, "করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যেই দেশে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। আমি পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার সমস্ত কংগ্রেস কর্মীদের কাছে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে এবং তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করার জন্যে আবেদন করছি। আপনারা সবাই নিরাপদে থাকবেন"।

রাজ্যের আরও কাছে আমফান, উপকূলবর্তী এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় শুরু প্রবল বৃষ্টি, জারি "হাই অ্যালার্ট"

আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাসে জানিয়েছেন যে, বুধবার 'আমফান' পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যে দিয়ে খুবই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আকারে বয়ে যাবে। তবে যে গতিতে ওই ঝড় এগিয়ে আসছে তা উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে, এর তীব্রতা কিছুটা কম হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

আবহাওয়া দফতরের মতে এই ঝড়ের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা এই দুটি রাজ্য। আমফানের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলী, নদিয়া জেলার। কাঁচা ঘর, পুরনো পাকা বাড়ি, উড়ন্ত জিনিস, রেল ও সড়ক যোগোযোগ, ফসল, বাগান,  নারকেল গাছ সহ সবধরণের বড় গাছ, বড় জাহাজ, নৌকা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তারের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়।

বাংলা এবং ওড়িশায় জারি আমফানের সতর্কবার্তা, বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা!

আমফানের প্রভাবে এরাজ্যে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সঙ্গে চলবে লাগাতার ভারী বৃষ্টি। এদিকে পূর্ব উপকূলে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে "হাই অ্যালার্ট" বা "চূড়ান্ত সতর্কতা" জারি করা হয়েছে। কলকাতাতেও জারি সতর্কবার্তা। আজ (বুধবার) থেকে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ভোর ৫ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কলকাতা বিমানবন্দর, জানানো হয়েছে সরকারি তরফে। ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে এবং সঙ্গে নাগাড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বাংলার সাতটি জেলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাবের সম্মুখীন হতে পারে।

.