This Article is From Nov 10, 2019

'Bulbul'-এর ঝাপটায় ডুবন্ত জাহাজের ৭৫ যাত্রীকে উদ্ধার প্রশাসনের', মমতা

সাইক্লোন বুলবুলের তীব্র তাণ্ডব থেকে রক্ষা করা গেছে ৭৫টি প্রাণ, জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

'Bulbul'-এর ঝাপটায় ডুবন্ত জাহাজের ৭৫ যাত্রীকে উদ্ধার প্রশাসনের', মমতা

উপকূল থেকে সরানো হয়েছে ১,৬৪,৩১৫ জনকে

কলকাতা:

সাইক্লোন বুলবুলের (Cyclone Bulbul) তীব্র তাণ্ডব থেকে রক্ষা করা গেছে ৭৫টি প্রাণ, জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সংবাদসংস্থাকে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ঝড়ের দাপটে ডুবতে বসেছিল ৭৫ যাত্রীর একটি জাহাজ। পুলিশি (West Bengal police) তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছেন সমস্ত যাত্রী। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারের  নেতৃত্বে উদ্ধার করা হয় সমস্ত যাত্রীকে। এঁরা ঝড়ের গতিবিধি সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিলেন না। সম্ভবত, আবহাওয়া দফতরের আগাম সতর্কবার্তাও পৌঁছোয়নি এঁদের কাছে। আপাতত নামখানার কাছে মুসৌনি দ্বীপে সবার আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

"বুলবুল" আতঙ্ক, শনিবার সন্ধে ৬টা থেকে রবিবার ভোর ৬ টা, বন্ধ বিমান চলাচল

মমতার কথায়, সঙ্গে খাবার থাকায় যাত্রী এবং নাবিকেরা কেউই খাবার চাননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিরাপদে মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুই তাঁদের একান্ত কাম্য। এই ৭৫ জন যাত্রী ছাড়াও ঝড়ের ঝাপটায় বিপন্ন ১,১২,৩৬৫ জন শরণার্থীকে ইতিমধ্যেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছে স্কুল এবং ৩২৮ টি ত্রাণ শিবিরে।

এছাড়া, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ঝড়ে বিপর্যস্ত অঞ্চল থেকে দুর্গতদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য গঠন করেছে ১৬টি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি। শরণার্থীদের মুখে খাবার তুলে দিতে খোলা হয়েছে ১,২১৫টি রান্নাঘর। ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছতে তৈরি ৯৪টি নৌকো। এছাড়া, সমস্ত কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার দেখভালের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে ১,৩৩৫জন স্বেচ্ছ্বাসেবককে। ২.৪০ লক্ষ পানীয় জলের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।

কলকাতায় বুলবুলের আগমনের আগেই ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব শুরু: ১০ টি পয়েন্ট

মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, স্থলভাগের ওপর আছড়ে পড়ায় ইতিমধ্যেই ঝড়ের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২০০ কিমি বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে। প্রচুর বাড়িঘর ভেঙেছে। নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। বিস্তারিত জানতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ড্রোন ক্যামেরা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে কোনও জীবনহানির কথা এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এও আশ্বাস দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরে আস্তে আস্তে বাংলাদেশের দিকে যেতে শুরু করেছে সাইক্লোন। বাংলা এখন অনেকটাই বুলবুল-মুক্ত। তবে, ঝড়ের দাপট না কমা পর্যন্ত সাধারণ নানুষকে বাড়ির বাইরে পা রাখার পরামর্শই দিয়েছেন মমতা। মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছেন মৎস্যজীবীদের। একই সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলায় নবান্নে রবিবারেও কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

.