Read in English
This Article is From Nov 09, 2019

ধেয়ে আসছে 'বুলবুল', 'তাণ্ডব' রুখতে জাহাজ, বিমান নিয়ে তৈরি নৌসেনা

বিপর্যয় রুখতে ইতিমধ্যেই তিনটি জাহাজ ও বিমান নিয়ে তৈরি ভারতীয় নৌসেনা। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কিছুক্ষণ আগেই জানানো হয়েছে একথা। 

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

শনিবার মাঝরাতে উপকূলে আছড়ে পড়বে বুলবুল?

কলকাতা:

আবহাওয়াবিদদের মতে, শনিবার রাত ১১টার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে সাইক্লোন বুলবুল (Cyclone Bulbul)। যার তাণ্ডবে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে জনজীবন। ফলে, আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলে পাশাপাশি, বিপর্যয় রুখতে ইতিমধ্যেই তিনটি জাহাজ ও বিমান নিয়ে তৈরি ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Ministry of Defence) পক্ষ থেকে কিছুক্ষণ আগেই জানানো হয়েছে একথা। 

"বুলবুল" আতঙ্ক, শনিবার সন্ধে ৬টা থেকে রবিবার ভোর ৬ টা, বন্ধ বিমান চলাচল

মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পূর্ব নৌসেনা প্রধান (এএনসি) কড়া নজর রেখেছেন ঝড়ের গতিপথের দিকে। আপাতত বুলবুল উত্তরমুখী। পাশাপাশি, সমুদ্রে মাঝ ধরতে না যাওয়ার আগাম সতর্কবার্তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গোপসাগর উপকূল সংলগ্ন মৎস্যজীবীদের। সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে তাঁদের মাছধরার নৌকোগুলিকেও। গতকালই মাঝসমুদ্রে থেকে যাওয়া মৎস্যজীবীদের বন্দরে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া, "নৌবাহিনির তিনটি জাহাজ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ইতিমধ্যেই অবস্থান করছে বিশাখাপত্তনমে। যাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো সম্ভব হয়।

Advertisement

ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য ১০টি ডুবুরি এবং মেডিকেল টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে নৌবিমান। এছাড়াও, রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনির পক্ষ থেকে। এর জন্য ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

বুলবুলের তাণ্ডবে গাছ উপড়ে রাস্তায়! গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার দমকল কর্মীদের

Advertisement

এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রতি সেকেন্ডে গতিবেগ বাড়িয়ে দ্রুত গতিতেই ধেয়ে আসছে বুলবুল। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রতি ঘণ্টায় কমপক্ষে ১২০ কিলোমিটার ঝোড়ো হাওয়া সহ ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাবে বলেই আশঙ্কা। উপকূলীয় ওড়িশা এবং পশ্চিমবাংলার কিছু অংশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভারী বর্ষণ। শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা বাংলার উপকূলীয় অঞ্চলে কমলা সতর্কতা জারি করেছিল। শনিবার সকাল থেকেই ক্রমশ প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে উঠছে সেই ঝড়।

Advertisement