Read in English
This Article is From Nov 11, 2019

'বুলবুল'-কে ঘিরে "কুম্ভিরাশ্রু বিসর্জন" কেন্দ্রের: বললেন মন্ত্রী জাভেদ খান

Cyclone Bulbul: ২০১৭ সালেও, কেন্দ্র আর্থিক সহায়তা না করায় সমস্ত ব্যয়ভার বহন করে রাজ্য সরকার, সংস্কার করা হয় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিরও, বলেন জাভেদ খান

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Cyclone Bulbul: প্রায় ২.৯৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন (পিটিআইয়ের ছবি)

কলকাতা:

ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'-কে ইস্যু করে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের (West Bengal) দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান। তিনি (Javed Khan) অভিযোগ করেন যে, রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Bulbul) আছড়ে পড়ার ঘটনায় শুধুই কুমিরের কান্না কাঁদছে কেন্দ্র, কিন্তু সংকট নিরসনে রাজ্য সরকারের দিকে কোনও রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না তাঁরা। সংবাদসংস্থা এএনআইকে রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার খুব তাড়াতাড়ি নানারকম আশ্বাস দেয়, তবে প্রয়োজনে কখনই সাহায্যের হাত বাড়ায় না। কেন্দ্র খুব ভালভাবেই জানে কীভাবে কুম্ভিরাশ্রু বিসর্জন করতে হবে"। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে এ পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছএ কমপক্ষে ৬ জনের।  "২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গে মারাত্মক বন্যা হয়েছিল। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে মোট ২,৩০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রের তরফ থেকে এ রাজ্যকে মাত্র ১,১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়", বলেন জাভেদ খান।

'বুলবুল-মুক্ত বাংলা', মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে Tweet রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রীর

একই রকমভাবে ২০১৭ সালেও, কেন্দ্র কোনওরকম আর্থিক সহায়তা না করায় দুর্যোগের পর ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে সমস্ত ব্যয়ভার বহন করতে হয় রাজ্য সরকারকেই, সংস্কার করা হয় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিরও, কিন্তু কেন্দ্র সেই সময়েও পাশে থাকেনি, ক্ষুব্ধ স্বরে জানান রাজ্যের মন্ত্রী।

Advertisement

একইভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের তির ছুঁড়তে থাকেন জাভেদ খান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার ওই মন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে যাওয়ার এক মাস পরে কেন্দ্র ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের জন্যে দল পাঠায়।

ঘূর্ণিঝড় "বুলবুল" আছড়ে পড়ায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার, খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী

Advertisement

"সময়ই বলবে যে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে আমরা কী ধরনের সহায়তা পাব। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে আমার সবচেয়ে কম বিশ্বাস আছে, আদৌ কতটা সহায়তা পাবো তা জানা নেই", বলেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ রাজ্যে প্রায় ২.৯৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এবং ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় মৃত্যু হয়েছে একজনের।

Advertisement

রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন যে পূর্ব ভারতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পরে কেন্দ্র গোটা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরে রেখেছিল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সম্পূর্ণ সহায়তা করার আশ্বাসও দিয়েছে।

রবিবার তীব্র ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'-এর জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা।

Advertisement

তীব্র ঝোড়ো হাওয়া বওয়ায় বেশ কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়ে যায় এবং প্রশাসনের তরফ থেকে রাস্তা সাফাইয়ের কাজে নামানো হয় বহু কর্মীকে।

সোমবার সকালেও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের বেশ কয়েকজন কর্মীকে গাছ কাটার যন্ত্র দিয়ে পড়ে থাকা গাছ কেটে সাফাইয়ের কাজে নামতে দেখা যায়।

Advertisement