Cyclone Bulbul Update : মৎস্যজীবীদের আজ রাতের মধ্যেই ফিরতে বলা হয়েছে সমুদ্র থেকে(প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: গত ছয় ঘণ্টায় প্রায় ২১ কিলোমিটার গতিবেগে বঙ্গোপসাগরের উত্তর পশ্চিম দিকে ঘুরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল (Cyclone Bulbul Update) এখন অবস্থান করছে পূর্ব এবং পশিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় । ওড়িশার পারা দ্বীপের দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্ব থেকে প্রায় ৫৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। পাশাপাশি সাগর দ্বীপের ৬৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড় এবং বাংলাদেশ উপকূল থেকে তা রয়েছে প্রায় ৭৪০ কিলোমিটার দূরে ,জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী মাত্র ৬ ঘন্টায় এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে । এরপর আগামী ১২ ঘন্টায় উত্তর, উত্তর পশ্চিম দিকে ঘুরবে এই ঘূর্ণিঝড় । শনিবার সকাল থেকে এটি উত্তর পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে। অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এটির। জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ডানা ঝাপটে ধেয়ে আসছে “অতি শক্তিশালী” “বুলবুল”, হানা দিতে পারে রাজ্যে
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। তবে বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর(Cyclone Bulbul Update) । উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ৯ ও ১০ তারিখ মানে শনিবার থেকেই পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া , এই সমস্ত জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আজ রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্রে হাওয়ার গতিবেগ থাকার সম্ভাবনা ৮৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এমনকী তা ১০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা থাকতে পারে।
Cyclone Bulbul: তীব্রতর হচ্ছে বুলবুল! আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়
আগামীকাল থেকে এই তীব্র ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তি বাড়াবে এবং তখন হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৯৫ থেকে ১০৫ এমনকি তা ১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাও থাকতে পারে। এই তীব্র ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তি বাড়িয়ে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং তখন হাওয়ার গতিবেগ ১২০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী কাল রাত থেকেই হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে যাবে বঙ্গোপসাগরে যা ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা ছাড়িয়ে যেতে পারে, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এর এর ফলে শুক্রবার রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ৪০ থেকে ৫০ এমনকি ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এবং ধীরে ধীরে এই হাওয়ার গতিবেগ আরও বাড়বে। শনিবার সন্ধ্যে থেকে হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এমনকি ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ১০ তারিখ অর্থাৎ রবিবার সকাল থেকেই ঝড়ের দাপট আরও বাড়বে। ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার এমনকী ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অঞ্চলে। কাল থেকেই সমুদ্র উত্তাল থাকবে এবং শনিবার থেকে সমুদ্র অতি উত্তাল হয়ে উঠবে, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এই অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে, বড় গাছ উপড়ে পড়তে পারে, কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে, উপকূল অঞ্চলে বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে।
আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:
বেশ কিছু সর্তকতা জারি করা হয়েছে, উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরের ভিতরেই সুরক্ষিত স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের আজ রাতের মধ্যেই ফিরতে বলা হয়েছে সমুদ্র থেকে, সমুদ্রের ধারে মানুষ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে, সমুদ্রে এবং সুন্দরবনের বদ্বীপ অঞ্চলেও মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে, সর্তকতা জারি করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য, পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটনস্থল রয়েছে যেমন দীঘা, মন্দারমনি ,তালসারি শংকরপুর, বকখালি ,সাগরদ্বীপে আগামী ৯ এবং ১০ তারিখ সমুদ্রের কাছাকাছি কাউকেই যেতে দেওয়া হবে না এবং যেকোন ধরনের ওয়াটার অ্যাক্টিভিটি বন্ধ করা হচ্ছে।