Cyclone Bulbul Updates: বুলবুল ভয়াবহ তীব্রতায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় তীব্র আকার ধারণ করার সম্ভাবনার দিকেই এগোচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল (Cyclone bulbul) ভয়াবহ তীব্রতায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল' আপাতত ৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেগে এগোচ্ছে। বর্তমানে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে সেটি। অর্থাৎ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপপুঞ্জের ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে বুলবুল, জানিয়েছেন ভুবনেশ্বর আবহাওয়া কেন্দ্রের পরিচালক এইচআর বিশ্বাস।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওড়িশা সরকার সমস্ত জেলা প্রশাসনকে বিষয়টিতে নজর রাখতে বলেছেন। এই ঘূর্ণিঝড় বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে। রাজ্যের ৩০ টি জেলার মধ্যে ১৫ টি জেলাকেই যে কোনও সম্ভাব্য বিপর্যয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জল জমা এবং বন্যার মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা।
আইএমডি-র মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ঘূর্ণিঝড় কোন দিক দিয়ে আসবে এবং স্থলভাগের ঠিক কোন অংশে আছড়ে পড়তে পারে এই সম্ভাব্য অবস্থানের দিকনির্দেশের জন্য বিষয়টি নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টির মারাত্মক আকার ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এর দাপট থেকে বেঁচে যেতেও পারে ওড়িশা।”
এই খবরে আপাত স্বস্তিতে ওড়িশাবাসী। মে মাসে হওয়া ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় ফানি'র দাপটে শহর গ্রাম সবই লণ্ডভণ্ড। সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী ফানিতে ৫ লক্ষেরও বেশি বাড়িঘর নষ্ট হয় এবং ৬৪ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান। সেই ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য লড়াই করছেন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই ফের দিন ১৫ আগেই ওড়িশায় প্রবল বর্ষণে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।
বিশেষ ত্রাণ কমিশনার (এসআরসি) পি কে জেনা বলেন, গঞ্জম, গজপতি, নয়াগড়, পুরী, খুরদা, জগৎসিংহপুর, কটক এবং কেন্দ্রপাড়া সহ মোট ১৫ টি জেলা প্রশাসনকে যে কোনও ধরণের বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৮ নভেম্বর থেকে শুরু করে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না আসা অবধি মাছ ধরতে কোনও জেলে যাতে সমুদ্রের দিকে না যান তা নিশ্চিত করতেও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষকদেরও ফসল রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বাস জানান, ৯ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ওড়িশার উত্তর উপকূলীয় জেলাগুলিতে বেশ কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছিলই। এই সময়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা অবধি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রের অবস্থা খুবই উত্তাল রইবে। তারপরে পার্শ্ববর্তী উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হতেও পারে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)