Cyclone Fani: অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে জানানো হয়েছিল ফোন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুবার ফোন করার চেষ্টা হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রীর দফতর
- তাঁরা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে বাইরে রয়েছেন, তিনি ফোন করেন নি
- তাঁরা জানান, এরপরেই রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী
কলকাতা: ওড়িশা, বাংলাদেশ কাঁপিয়ে বিদায় নিয়েছে সুপার সাইক্লোন ফণী। তবে রাজনৈতিক বাক তরজা অব্যাহত। ফণীর প্রভাবে এ রাজ্যে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে, রাস্তার পাশে উপড়ে পড়েছে গাছ, গাছের ডাল। যদিও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকমভাবে সজাগ ছিল প্রশাসন। খড়গপুরে থেকে পুরো পরিস্থিতির দিক নজর রেখেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফণী নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শনিবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে সম্মান করেন না বলে অভিযোগ করেছে রাজ্যের শাসকদল। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর থেকেই ফণী সম্পর্কে তথ্য পেতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়ে দিল, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করেন নি, এই তথ্য ভুল।
cyclone Fani: ফণীতে রাজ্যে বেশী ক্ষতি হয় নি, জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সংবাদমাধ্যমের একাংশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে কথা বললেও, তাঁর সঙ্গে কথা বলার কোনও চেষ্টা করেন নি। এবং তিনি শুধুমাত্র রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন।
কংগ্রেস এবং বিজেপির থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে চলেন নবীন পট্টনায়েক।এমনকী, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে বিরোধীদের জোটেও নেই তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে দুবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন।
বাংলাদেশ সফরে শক্তিক্ষয় করে ফণা নামাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফণী, রাজ্যে নেই ক্ষয়ক্ষতি
প্রথমবার যে আধিকারিক ফোন করেছিলেন, তাঁকে বলা হয়, বাইরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে ফোন করা হবে।দ্বিতীয়বারও প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে বলা হয়, ফোন করা হবে।
শনিবার, বিমান পরিষেবা সময়মতো চালু হয় কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটা কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়া ছাড়া রাজ্যে বড়সর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয় নি।