This Article is From May 03, 2019

ওড়িশাকে কাবু করে আজ বিকেল সন্ধ্যা করেই রাজ্যে আসছে ফণী, সতর্কতা তুঙ্গে

বিকেলের মধ্যেই রাজ্যে প্রবেশ করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী (Cyclone Fani)।

ওড়িশাকে কাবু করে আজ বিকেল সন্ধ্যা করেই রাজ্যে আসছে ফণী, সতর্কতা তুঙ্গে
কলকাতা:

বিকেলের মধ্যেই রাজ্যে প্রবেশ করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী (Cyclone Fani)।  দুপুরে আবহাওয়া দপ্তর জানায় এখন ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান দীঘা থেকে ২২৭ কিলোমিটার এবং কলকাতা থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে। আর তাই আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা মনে  করছেন বিকেলের পরই রাজ্যে ঢুকে পড়বে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। এখন সেটির শক্তি কমেছে কিছুটা। ঘূর্ণিঝড় টি এখন সিভিয়র   সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে প্রবেশ করার পর মেদিনীপুর হয় সেটি ধীরে ধীরে বাংলাদেশের দিকে এগোতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিকেলের  দিকে প্রবেশ করলেও ফণীর দাপট বেশি রাতের দিকে পড়তে চলেছে। রাতের দিকে বা কাল ভোরের দিকে তা আরও বাড়তে পারে।   

 Cyclone Fani: ফণী আছড়ে পড়লে কী করবেন আর কী করবেন না? জেনে নিন বিশদে

ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের তরফে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে সমস্ত নির্বাচনী জনসভা বাতিল করেছেন। তৃণমূলও রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রেখেছে। মমতা বলেন, ‘ আমি গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আমাদের দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল  করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক  কর্মসূচি আমরা পালন করব না। কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমকেও  বলেছি  অন্য কাজ না করে এই সময় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে  সমন্বয় রাখতে। সবাইকে বলব সতর্ক থাকুন। অযথা গুজব ছড়াবেন না। আমাদের প্রশাসন সমস্ত রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি আছে।'
সকাল থেকে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় আকাশের মুখ ভার। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর মনে করছে ঘূর্ণিঝড় প্রবেশের  সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হবে। তার সঙ্গী হবে ঝড়ো হাওয়া। হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০  কিলোমিটাররে আশপাশে থাকতে  চলেছে। সেটি  বেড়ে ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। 

Cyclone Fani: ফণীর দাপটে পুরী যেন ভুতুড়ে শহর

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুরসভার কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তাঁরা রাস্তাতেই রয়েছেন। তাঁর পরামর্শ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বেরোবেন না। আজ সারারাত এবং কালকের বেশ কিছুটা সময় এ রাজ্যে থাকার পর ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ দিকে যাবে। সেসময় উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আপাতত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাছাড়া বেশিরভাগ জায়গাতেই ভিড় কম।     

.