This Article is From May 03, 2019

সহ্যাদ্রি, রণভীর আর কাদমত তৈরি ফণীর মোকাবিলায়; ত্রাণ নিয়ে প্রস্তুত নৌবাহিনী

নৌবাহিনীর এই তিন যুদ্ধ জাহাজ- সহ্যাদ্রি, রণভীর ও কাদমত ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসকদের দলসহ তীব্র ঘূর্ণিঝড় ফণীর উপরে তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছে।

সহ্যাদ্রি, রণভীর আর কাদমত তৈরি ফণীর মোকাবিলায়; ত্রাণ নিয়ে প্রস্তুত নৌবাহিনী

ভারতীয় নৌবাহিনীর তিন যুদ্ধজাহাজ ঘূর্ণিঝড় ফণীর মোকাবিলা করতে একেবারে প্রস্তুত। নৌবাহিনীর এই তিন যুদ্ধ জাহাজ- সহ্যাদ্রি, রণভীর ও কাদমত ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসকদের দলসহ তীব্র ঘূর্ণিঝড় ফণীর উপরে তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ওড়িশার উপকূল এলাকায় মূলত যে ক্ষয়ক্ষতি হবে, সেসবের মোকাবিলা করবে ভারতীয় নৌবাহিনীর এই তিন বিশ্বস্ত জাহাজ।

এই জাহাজটি ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানের দক্ষিণ দিকে কাজ করছে, যাতে যে কোনও মুহূর্তে উদ্ধারকাজ শুরু করে দেওয়া যায়। নৌবাহিনীর অন্যান্য জাহাজগুলি বিশাখাপত্তনমে অবস্থান করছে। বিশাখপত্তনম থেকে নৌবাহিনীর ডুবুরিদের বিভিন্ন দলও ওড়িশায় চলে গিয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে পুরীর চারপাশে গোপালপুর ও চাঁদবালিরর মাঝামাঝি এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। 

ওড়িশাকে কাবু করে আজ বিকেল সন্ধ্যা করেই রাজ্যে আসছে ফণী, সতর্কতা তুঙ্গে

অন্যদিকে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫৪ টি উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী দল উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলিতে সাইক্লোন ফণীর জন্য আগাম সতর্কতা হিসাবে আগে থেকেই পৌঁছে গেল। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২ টি দল অন্ধ্রপ্রদেশে, ২ টি দল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে, ২টি দল ঝাড়খন্ডে, ২টি দল কেরালাতে, ২৮ টি দল ওড়িশাতে, ২ টি দল তামিলনাড়ুতে এবং ৬ টি দল পশ্চিমবঙ্গে এসে উপস্থিত হয়েছে বলে জানানো হয় একটি বিবৃতিতে। এছাড়াও, ৩১ টি দল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর শিবিরে রয়েছে ‘সতর্কতা' জারি করার পর থেকেই। তাদের মধ্যে ৬ টি দল অন্ধ্রপ্রদেশে, ১ টি দল ঝাড়খন্ডে, ১২ টি দল তামিলনাড়ুতে এবং ১২টি দল পশ্চিমবঙ্গের শিবিরে রয়েছে।

 ফুঁসছে, গর্জাচ্ছে ফণী, দেখুন আজ সকালে উড়িষ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের ভিডিও

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, “এই দলটিতে রয়েছেন চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, প্যারামেডিক্যাল টিম, নৌকা সহ ডুবুরিরা, লাইফ জ্যাকেট, স্কুবা ডাইভিং-এর সরঞ্জাম এবং আধুনিকতম যোগাযোগ ব্যবস্থার যন্ত্রপাতি। যার মধ্যে রয়েছে কুইক ডিপ্লয়েবল অ্যান্টেনা, এইচএফ অথবা ভিএইচএফ সেট, স্যাটেলাইট ফোন। যে যে রাজ্যে ‘ফণী' ধেয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি, সেখানকার উপকূলবর্তী অঞ্চলে রয়েছে এই দলগুলি। এই আধুনিকতম যোগাযোগ ব্যবস্থার যন্ত্রপাতিগুলির কারিগরী এতটাই উন্নত যে, সংশ্লিষ্ট এলাকার নেটওয়ার্ক চলে গেলেও এইগুলি একইভাবে কাজ করতে সক্ষম”।   

.