বিমান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উড়ান সংস্থা।
হাইলাইটস
- প্রায় ২১ ঘণ্টা কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল
- ওড়িশায় আছড়ে পড়ার পর ঝড়ের অভিমুখ হবে পশ্চিমবঙ্গ
- ইতিমধ্যে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
কলকাতা: ফণীর (Cyclone fani) জেরে প্রায় ২১ ঘণ্টা কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata Airport) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আজ রাত সাড়ে নটা থেকে কাল শনিবার সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরে কোনও বিমান ওঠা নামা করবে না। ঘূর্ণিঝড় এখন ওড়িশার একেবারে কাছে চলে এসেছে। সেটি ওড়িশায় আছড়ে পড়বে। তারপর তার অভিমুখ হবে পশ্চিমবঙ্গ। সেই কারণেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হল। ইতিমধ্যে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহনের (Civil Aviation) নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ (DGCA) জানিয়েছে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই বিমান পরিষেবা বন্ধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
লোক সরানো চলছে, বিমান ও ট্রেন বাতিল 'ফণী'র জন্য: ১০'টি তথ্য
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল যদি বুঝতে পারে পরিস্থিতি বিমান চলাচলের পক্ষে অনুকূল তাহলে পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হবে। অসামরিক বিমান পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী সুরেশ প্রভু (Suresh Prabhu) জানিয়েছেন বিমান বন্দরের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি দপ্তরকে নির্দিষ্ট খবর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে তার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সমস্ত উড়ান সংস্থাকে উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর জন্য সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছে মন্ত্রক।
উড়ান সংস্থাগুলিও তাদের বিমান বাতিল করার কথা জানিয়েছে। বিশাখাপত্তনম থেকে যাতায়াত করা সমস্ত বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। যাত্রীদের জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা করেছে ভিস্তারা। কলকাতা এবং ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে কাটা টিকিট বাতিল করলে আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত কোনও মাশুল নেবে না সংস্থা। একই পথে হেঁটেছে গো এয়ারও।
বিপুল বেগে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন 'ফণী', কড়া সতর্কতা জারি রাজ্যে
ঘূর্ণিঝড়ের মূল প্রভাব ওড়িশায় পড়লেও পশ্চিমবঙ্গেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া হুগলি এবং ঝাড়গ্রামের মত জেলা প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে ওড়িশা। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে ওড়িশার বিভিন্ন জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঝড়ের গতিবিধি থেকে শুরু করে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি নৌসেনা উপকূল রক্ষী বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত আছে এনডিআরএফ এর মত সংস্থাও।