This Article is From May 05, 2019

মমতার সঙ্গে কেন কথা বলতে পারেন নি মোদী, ব্যাখা দিলেন আধিকারিকরা।

Cyclone Fani: ফণীর পর রাজ্যের পরিস্থিতি  সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মমতার সঙ্গে কেন কথা বলতে পারেন নি মোদী, ব্যাখা দিলেন আধিকারিকরা।

Cyclone Fani: শুক্রবার গভীর রাতে ঝড়, বৃষ্টি হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।

নিউ দিল্লি:

ওড়িশা কাঁপিয়ে শুক্রবার এ রাজ্যে হানা দিয়েছিল সুপার সাইক্লোন ফণী। রাজ্য সরকারের তরফে ফণীর মোকাবিলায় সবরকম পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য সরকার। খড়গপুরে থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নবান্নে খোলা হয়েছিল বিশেষ কন্ট্রোল রুম। উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয় বিশেষ সতর্কতা। শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয় বৃষ্টি। বিকেলে কোনও কোনও জায়গায় দু এক পশলা বৃষ্টি হলেও রাতের দিকে বঙ্গে ছোবল মারে ফণী। তার তার জেরে শুক্রবার গভীর রাতে ঝড়, বৃষ্টি হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। শনিবার বাংলাদেশ পাড়ি দেয় ফণী।

ফণীর খবর নিতে রাজ্যপালকে ফোন মোদীর, কাল যাচ্ছেন ওড়িশায়

ফণীর কবলে পড়া মানুষদের সবরকম সাহায্যের বার্তা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ফণীর পর রাজ্যের পরিস্থিতি  সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাতেই ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

শনিবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপা দাগেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে প্রধানমন্ত্রী সম্মান করেন না বলে অভিযোগের পাশাপাশি রাজ্যপাল বিজেপি নেতার মতো কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী থেকে রিপোর্ট না নিয়ে কেন তিনি সরাসরি রাজ্যপালের থেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের মহাসচিব।

Cyclone Fani: ফণীর আপডেট জানতে রাজ্যপালকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন, তোপ দাগল তৃণমূল

তারমধ্যেই সরকারের শীর্ষস্তরের এক আধিকারিক জানিয়ে দিলেন, সাইক্লোনের পরিস্থতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তবে পরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কল না যাওয়ায় তা হয় নি। তারপরেই রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুবার ফোনে প্রধানমন্ত্রীর কথা  বলানোর চেষ্টা করা হয়। দুবারই বলা হয়, সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, আবার ফোন করা হবে”। আধিকারিকদের দাবি, তারপর প্রধানমন্ত্রীকে আর ফোন করা হয় নি, সেই কারণেই দুজনের কথা হয় নি।

রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর থেকে খোঁজ খবর নেওয়ার বিষয়টি ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।

.