This Article is From May 03, 2019

ফুঁসছে, গর্জাচ্ছে ফণী, দেখুন আজ সকালে উড়িষ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের ভিডিও

Cyclone Fani: ভুবনেশ্বরসহ বেশ কিছু স্থানে গাছ উপড়ে পড়ার খবরও মিলেছে এবং কিছু জায়গায় পুরনো দূর্বল বাড়িও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ফুঁসছে, গর্জাচ্ছে ফণী, দেখুন আজ সকালে উড়িষ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের ভিডিও

Cyclone Fani: ছোট্ট ভিডিওটিতে ক্ষিপ্র বাতাসের গর্জন এবং বৃষ্টির তীব্র শব্দ শোনা যাচ্ছে

হাইলাইটস

  • আজ সকাল ৮ টায় উড়িষ্যাতে আছড়ে পড়েছে ফণী
  • উড়িষ্যা উপকূল জুড়ে ভারী বৃষ্টি
  • বহু গাছ উপড়ে পড়ছে শহর জুড়ে
নিউ দিল্লি:

সকালেই ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী (Cyclone Fani) উড়িষ্যা উপকূলে (Odisha coast) আছড়ে পড়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল আজ সকাল ৮ টা থেকেই। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যাতে পুরীতে সাইক্লোন ফণীর গর্জন (Cyclone Fani's landfall) স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। 

বিপুল বেগে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন 'ফণী', কড়া সতর্কতা জারি রাজ্যে

“গর্জন এবং ফুঁসছে ফনী: এখানে দেখুন, পুরীতে ঠিক কেমন তাণ্ডব চলছে ঘূর্ণিঝড় ফণীর” সরকারের প্রেস শাখা আজ সকালেই টুইট করেছে ভিডিওটি।

ছোট্ট ভিডিওটিতে ক্ষিপ্র বাতাসের গর্জন এবং বৃষ্টির তীব্র শব্দ শোনা যাচ্ছে, বড় বড় গাছ একেবারে লুটিয়ে পড়ছে ঝোড়ো হাওয়ায়।

আবহাওয়া দফতরের মতে, এই ঝোড়ো বাতাস প্রতি ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার গতিতে উপকূলে আছড়ে পড়েছে এবং কিছু কিছু স্থানে এত গতিবেগ ছিল এর থেকেও বেশি। ঘূর্ণিঝড়ের চক্ষু বা কেন্দ্রের ব্যাসই হল ৩০ কিলোমিটার। 

ফণীর সতর্কতা; আজ রাত থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকাতা বিমান বন্দর

দফতরের কর্মকর্তারা জানান, সমুদ্রের তীরে তীর্থযাত্রীদের শহর পুরীতে ও অন্য স্থানে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেবে। ভুবনেশ্বরসহ বেশ কিছু স্থানে গাছ উপড়ে পড়ার খবরও মিলেছে এবং কিছু জায়গায় পুরনো দূর্বল বাড়িও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

বঙ্গোপসাগর আগে থেকেই ছিল উত্তাল, আজ সকালে এই ঘূর্ণিঝড় পড়ায় ওই উত্তাল সমুদ্র আরও টালমাটাল হয়ে ওঠে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা থেকে ১১ লক্ষেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি চাঁদিপুরের মতো শান্ত সমুদ্রও আজ হিংস্র বলেই কর্মকর্তারা জানান।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলিও সমস্ত রকমের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য একেবারে প্রস্তুত।

১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোনের পর ঘূর্ণিঝড় ফণীই নাকি এমন দ্বিতীয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ১৯৯৯ সালের ওই দুর্যোগে ১০,০০০ মানুষ মারা যান এবং উড়িষ্যা এককথায় নিমেষে তছনছ করে দিয়েছিল সুপার সাইক্লোন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ৪৩ বছরে ভারতের মহাসাগরীয় অঞ্চলের এপ্রিল মাসে এ ধরনের তীব্রতার প্রথম ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে ফণী।

.