আজ সকালেই ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে, কলকাতা শহরের বুকে তেমন মারাত্মক কোনও ক্ষতি না করেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল ফণী। কিন্তু বাংলাদেশেই সবথেকে বেশি মৃত্যু ডেকে এনেছে এই ঝড়। ফণীর কারণে কেবল এই দেশেই কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আজ বিকেল ৪ টে পর্যন্ত বাংলাদেশেই রইবে ফণী। ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলার সময়, বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ অবস্থান করছিল ঢাকার পশ্চিমে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে সারা বাংলাদেশ জুড়েই বৃষ্টিপাত চলতে থাকে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মেট বুলেটিন অনুযায়ী আকাশ একেবারেই মেঘাচ্ছন্ন রইবে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপর দিয়েই উত্তর-উত্তর পূর্বের দিকে আরও এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে থেকে।
Cyclone Fani: ফণীর ছোবলে উলটে গেল ২৫০ ফুটের ক্রেন, দেখুন তাণ্ডবের ভিডিও
শনিবার সকালে নাওখালি ও বরগুনায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দুই বছরের এক শিশুসহ পাঁচজন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশের জমিতে ফণী পা রাখার পর থেকেই এই নিয়ে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘ ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশের ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের রক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ জুড়ে ১৯ টি জেলার ৪,০৭১ টি কেন্দ্র শুক্রবার থেকেই ২২,০০,০০০ থেকে ২৫,০০,০০০ জন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। গত দশকের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ ঘূর্ণিঝড়ের অন্যতম একটি বলে মনে করা হচ্ছে ফণীকে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর মোকাবিলার জন্য শুক্রবার নৌবাহিনী, পুলিশ, উপকূলীয় গার্ড, অগ্নি নির্বাপক বিভাগ, স্কাউট, রেড ক্রস স্থানীয় প্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন সহ সাইক্লোন প্রস্তুতি কর্মসূচির () প্রায় ৫৬,০০০ সদস্য একেবারে তৈরি ছিলেন।
ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মোদী
শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত করে ফণী। ওই রাজ্যে তাণ্ডব চালিয়ে গভীর রাতে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে এই ঘূর্ণিঝড়। ওড়িশাতে ঘূর্ণিঝড়ে ৮ জনের মারা যাওয়ার খবর মিলেছে। ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ ঝড়ের কারণে গুরুতর আহত হয়েছেন। পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা চলছে।