শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ফণীর এক ছোবলেই যোগাযোগ শূন্য এক দ্বীপে পরিণত হয়েছে পুরী এবং ভুবনেশ্বর। ঘূর্ণিঝড়ে ফণীর কারণে ওড়িশার এই দুই জেলার মধ্যে টেলি যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক পরিষেবা আংশিকভাবে ব্যাহত হয়েছে। শুধু টেলি যোগাযোগ নয়, বন্ধ অধিকাংশ যানচলাচলও।
Cyclone Fani: ফণী আছড়ে পড়লে কী করবেন আর কী করবেন না? জেনে নিন বিশদে
ইতিমধ্যে ১৪৭ টি ট্রেন (১ মে থেকে ৩ মে পর্যন্ত নির্ধারিত) বাতিল করা হয়েছিল। পূর্ব উপকূলীয় রেল আজ আরও ১০ টি ট্রেন বাতিল করেছে। ওড়িশা এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে প্রচণ্ড তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের ঝড়ের দাপটে আজ বিপর্যস্ত জনজীবন। সকাল ৮টা নাগাদ ২৪৫ কিলোমিটার গতিতে ফণী আছড়ে পড়ে সমুদ্র উপকূলে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর - 1938 জারি করেছে।
ফুঁসছে, গর্জাচ্ছে ফণী, দেখুন আজ সকালে উড়িষ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের ভিডিও
ভারতীয় কোস্ট গার্ড, বিশাখাপত্তনাম, চেন্নাই, পারাদ্বীপ, গোপালপুর, হলদিয়া, ফ্রেজারগঞ্জ ও কলকাতায় ৩৪ টি দুর্যোগ মোকাবিলা দল মজুত রেখেছে, পাশাপাশি বিশাখাপত্তনাম ও চেন্নাইয়ে চারটি জাহাজও রয়েছে।
এই ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ধীরে ধীরে ৪ মে সকালের দিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এরপরে এটি আরও উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে। ৪ তারিখ সন্ধ্যায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেখা দিতে পারে।