আজ সকালেই ওড়িশায় আছড়ে পড়েছে ফণী
নিউ দিল্লি:
আজ সকাল ৮ টায় ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন ফণী। পুরী শহর ইতিমধ্যেই কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির জেরে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে এই রাজ্যে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দলগুলিও পৌঁছেছে এই এলাকায়। নৌ বাহিনী ইতিমধ্যেই ওড়িশা পৌঁছেছে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয় নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি জটিল হতে থাকায় গতকাল রাত ১ টা থেকেই ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে, সাধারণ মানুষকেও বাড়িতেই থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওড়িশা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডেও ফণীর জন্য কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও ফণীর প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের নিজেদের ফসল নিরাপদ স্থানে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে এখানে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী আছড়ে পড়লে যে ছয়টি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত;
যতদূর সম্ভব ঘর থেকে কম বেরোন। বাড়িতেই সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত রাখুন। বাড়িতে টর্চ, দড়ি, ওষুধ এবং খাওয়ার জল সঙ্গে রাখুন।
2. খাবার দাবারের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি এক জায়গায় নিরাপদে রাখুন কারণ ঝড়ের পরে কয়েক ঘন্টা না কয়েকদিন সব পরিষেবা বিপর্যস্ত রইবে বলা যাচ্ছে না।
3. যদি একান্তই বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে হয়, তাহলে আবহাওয়া খারাপ হলে পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিন এবং যতক্ষণ না আবহাওয়া সম্পূর্ণভাবে ঠিক হচ্ছে, সেখান থেকে বেরোবেন না।
4. আবহাওয়া খারাপ হতে দেখলে কোনও গাছ, বিদ্যুতের স্তম্ভের পাশে বা কাছাকাছি দাঁড়াবেন না।
5. যদি সেই মুহূর্তে গাড়ি চালাচ্ছেন, তাহলে চেষ্টা করুন কোন নিরাপদ স্থানে চলে যেতে। কোনও সেতু বা উড়ালপুলের উপর একেবারেই থামবেন না এবং গাড়ির সব জানলা খুলে দেবেন।
6. বাড়িতে বৈদ্যুতিক সব সরঞ্জামের সুইচ বন্ধ করে দিন এবং আগুন একেবারেই জ্বালাবেন না।
Post a comment