মৃতদের পরিবার পিছু দশলাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেন তিনি।
সালেম, তামিলনাড়ু: আজ ভোরে তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করা ঘূর্ণিঝড় গাজার হানায় ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে 11 জনের। মুখ্যমন্ত্রী ই পালানাস্বামী বলেছেন ঘূর্ণিঝড় গাজা নাগাপাট্টিনাম এবং বেদনারায়ণমের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে গিয়েছে। তার জেরে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। সালেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। তিনি জানান সরকারের কাছে খবর এসে পৌঁছেছে এ পর্যন্ত 11 জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু দশলাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের দেওয়া হবে এক লক্ষ টাকা করে। আর সামান্য আহতদের দেওয়া হবে 25 হাজার টাকা করে।
ইতিমধ্যে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে 80 হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ভোরে নাগাপাট্টিনামে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়।বৃষ্টির সঙ্গেই ছিল ঝড়ো হাওয়া। এ পর্যন্ত নাগাপাট্টিনাম, পুদুকোট্টাই,রামানাথপুরাম, ত্রিভুর সহ ছ'টি জেলার 80 হাজার মানুষকে উদ্ধার করে 300টি শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, নাগাপাট্টিনাম, পুদুকোট্টাই,রামানাথপুরাম, ত্রিভুর জেলায় ঝড়ের জেরে গাছ উপড়ে পড়েছে। জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। উদ্ধার কাজ ভালভাবে করতে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের আমলাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাগাপাট্টিনাম জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে আবহাওয়া দপ্তরের কর্তাদের মনে হয়েছিল বুধবারই আছড়ে পড়বে গাজা। কিন্তু শেষমেশ কিছুটা পরেই আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড়। অন্যদিকে স্কুল,কলেজ থেকে শুরু করে অফিস আজ বন্ধ রাখা হয়েছে। আন্না বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে।